Advertisement
E-Paper

বয়কট উঠলেও পরীক্ষা অনিশ্চিত রবীন্দ্রভারতীতে

উপাচার্যের হস্তক্ষেপে ইংরেজির স্নাতকোত্তরের ছাত্রছাত্রীরা মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট তুলে নিয়েছেন। আর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিকে ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতা কী ভাবে কাটানো যায়, উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীকেই তা দেখতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৫৩

উপাচার্যের হস্তক্ষেপে ইংরেজির স্নাতকোত্তরের ছাত্রছাত্রীরা মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট তুলে নিয়েছেন। আর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিকে ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতা কী ভাবে কাটানো যায়, উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীকেই তা দেখতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আজ, বুধবার রবীন্দ্রভারতীর স্নাতক স্তরের তৃতীয় সেমেস্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ইংরেজি বিভাগে ওই পরীক্ষা আদৌ শুরু হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিভাগের পরীক্ষা পিছোতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। বুধবারেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা মঙ্গলবার রাতে জানান।

শেষ মুহূর্তে পরীক্ষায় পাঠ্যক্রমের বাইরের পাঠ্য যোগ করা হচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে পড়ুয়াদের নাম লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে মূলত এই দু’টি অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের প্রধান বৃষ্টি বসুর পদত্যাগের দাবিতে সোমবার থেকে আন্দোলন করছেন এক দল পড়ুয়া। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর নেতৃত্বেই এই আন্দোলন হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও টিএমসিপি তা অস্বীকার করছে।

বৃষ্টিদেবীর পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের অবস্থানে বসেন পড়ুয়ারা। পরে অবশ্য তাঁরা তা তুলে নেন। কিন্তু বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে স্নাতকোত্তরের ক্লাস বয়কট চলতে থাকে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর। পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ছাত্রদের অনেক বক্তব্য আছে। তাদের কিছু দাবির প্রতি আমি সহানুভূতিশীল। কিন্তু ঘেরাও করে আন্দোলন আমি সমর্থন করি না। ছাত্রছাত্রীরা কথা দিয়েছে, তারা আর ওই পথ ধরবে না।” এর পরেই তিনি উপাচার্য সব্যসাচীবাবুকে আলোচনার মাধ্যমে জটিলতা কাটানোর পরামর্শ দেন।

রবীন্দ্রভারতী সূত্রের খবর, জট কাটাতে সব্যসাচীবাবু সারা দিনই তৎপর ছিলেন। রাত ৮টা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। আজ, বুধবার যে-পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা, অনেক ছাত্রছাত্রী তার অ্যাডমিট কার্ডও তোলেননি। তাই উপাচার্যের কাছে তাঁরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। উপাচার্য জানিয়ে দেন, স্নাতকোত্তরের পড়ুয়ারা ক্লাস বয়কট না-তুললে পরীক্ষা পিছোনোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হবে না। তাঁর অনড় মনোভাব টের পেয়ে আন্দোলনকারীরা শেষ পর্যন্ত ক্লাস বয়কট প্রত্যাহার করে নেন।

তা হলে কি পরীক্ষা পিছোচ্ছে?

রবীন্দ্রভারতীর এক কর্তা বলেন, “অনেকে তো অ্যাডমিট কার্ডই তোলেনি। তাই ইংরেজির পরীক্ষাটা পিছোনো হতে পারে।” অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে বলে জানান ওই কর্তা। উপাচার্য অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

তবে আন্দোলনকারীদের কড়া শাস্তি চেয়ে উপাচার্যেরই দ্বারস্থ হয়েছে কলা শাখার শিক্ষক সংসদ। ইংরেজি বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ চেয়ে এক দল ছাত্রছাত্রী সোমবার উপাচার্য এবং কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ঘেরাও করেছিলেন। কলা শাখার শিক্ষক সংসদ এ দিন ইংরেজির বিভাগীয় প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষক সংসদের অভিযোগ, ইংরেজির বিভাগীয় প্রধানের অপসারণ চেয়ে আন্দোলনকারীরা যে-ভাষায় স্লোগান দিয়েছেন, তা অশ্লীল, অসম্মানজনক। সেই জন্য আন্দোলনকারীদের কড়া শাস্তি দেওয়া দরকার। এই দাবিতে এ দিন উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দেয় শিক্ষক সংসদ। তবে শিক্ষিকার প্রতি অশ্লীল মন্তব্যের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

vc rabindra bharati university student agitation tmcp sabyasachi basu roychowdhury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy