বারবার তলব করা সত্ত্বেও অভিযুক্ত অনেক সংস্থা প্রতিনিধি পাঠায় না। তাই এ বার ক্রেতা সুরক্ষার মিডিয়েশন বা সালিশি-বিচারে গরহাজির থাকলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
বুধবার জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা দিবস উদ্যাপন করতে গিয়ে এই ব্যবস্থার কথা জানান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঠকে যাচ্ছেন অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ ও আবেদনের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধানে কিছু বড় বড় সংস্থাকে সালিশিতে ডাকা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা দফতরের দেওয়া তারিখে সালিশিতে হাজির হন না। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধনবাবু এ দিন বলেন, “সালিশির দেওয়া তারিখ মেনে কোনও সংস্থার প্রতিনিধি হাজির না-হলে প্রতিটি তারিখের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।” প্রতারিতদের হয়রানি ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এই ব্যবস্থা দ্রুত রূপায়ণের জন্য বিভাগীয় কর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন মন্ত্রী।
একই সঙ্গে সাধনবাবু জানান, এই ধরনের সালিশিকে আইনি সুরক্ষা দিয়ে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাঁর কথায়, “ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের অফিসারদের উপস্থিতিতে সালিশির ফয়সালা মানছে না কেউ কেউ। এটা এখনই বাধ্যতামূলক করা দরকার।” এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
১৯৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে ক্রেতা সুরক্ষা আইন চালু হয়। ওই আইন অনুযায়ী ক্রেতা সুরক্ষার জেলা ফোরামে ২০ লক্ষ টাকা এবং রাজ্য ফোরামে এক কোটি টাকা পর্যন্ত মামলার নিষ্পত্তির কাজ চলছে। ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থার উন্নয়নে সব রাজ্যের কাছে পরামর্শ চেয়েছিল কেন্দ্র। সাধনবাবু বলেন, “জেলা ফোরামে এক কোটি এবং রাজ্য ফোরামে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত মামলা করার ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।” মন্ত্রী জানান, বাংলায় এখন ২৬টি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা ফোরাম বা জেলা আদালত আছে। তা বাড়িয়ে ৩৫টি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy