Advertisement
E-Paper

মমতার পথে সংবাদমাধ্যমকে তোপ ইদ্রিসের

সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে শাসক দলের তোপ অব্যাহত। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূলের সভায় বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি সংবাদমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বলেন, “মমতাদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চাইলে কোথায় সাংবাদিকেরা ঢুকবেন, তা আমাদের দলের ছেলেরাই ঠিক করে দিত।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০৩:৪৬

সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে শাসক দলের তোপ অব্যাহত।

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূলের সভায় বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি সংবাদমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বলেন, “মমতাদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চাইলে কোথায় সাংবাদিকেরা ঢুকবেন, তা আমাদের দলের ছেলেরাই ঠিক করে দিত।”

২৮ মে সন্দেশখালির হালদারঘেরি এলাকায় সিপিএম এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মারপিট বেধেছিল তৃণমূলের। জখম হয় কয়েক জন। পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এলাকায় আসে। আসেন বাম নেতৃত্বও। শেখ সাহজাহান নামে এক তৃণমূল নেতার নাম জড়ায় হামলার ঘটনায়। যা নিয়ে সরব হন বিজেপির প্রতিনিধি দল। একই অভিযোগ করে বামেরাও। সাহজাহান-সহ কয়েক জনের নামে অভিযোগও দায়ের হয় থানায়। কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হলেও ধরা পড়েননি ওই নেতা।

২৮ মে-র ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সভা ডাকেন সাহজাহানই। সব সময় ছিলেন মঞ্চেই। ইদ্রিস এ দিন তাঁর নাম করেই বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সাংবাদিকরা সন্দেশখালির কোথায় যাবেন, তা সাজাহানরাই ঠিক করে দিত।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য তা চান না বলেই নানা ঘটনায় দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে।”

ইদ্রিস যখন এই কথা বলছেন, তখন মঞ্চে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়, দলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “এই সন্দেশখালিতেই আমাদেরও দু’জনকে সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কোপায়। এক জনের হাতও বাদ গিয়েছে। সে সব সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয় না।”

ইদ্রিস যা বলেছেন, তা নানা সময়ে শাসক দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রী এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও সমর্থন পেয়েছে। কয়েক মাস আগে মমতা আবার জনসভায় গিয়ে বলেন, “তা-ও তো কোন খবরের কাগজ পড়বেন এখনও বলে দিইনি।” ক’মাস হল নবান্নে সাংবাদিকদের গতিবিধির উপরেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে তৃণমূল। সেই তালিকাই আরও দীর্ঘ হল ইদ্রিসের বক্তব্যে।

এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও কেন ধরা পড়েননি সাজাহান? তিনি আগে দাবি করেছিলেন, ২৮ মে সন্দেশখালিতেই ছিলেন না। জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, “তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। কয়েক জন ধরা পড়েছে। কয়েক জনের খোঁজ চলছে।”

mamata bandyopadhyay idrish ali tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy