Advertisement
E-Paper

লড়াই করতে আসিনি, সাফ জানালেন মীরার উত্তরসূরি

নির্দিষ্ট সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চেয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিদায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। এমনকী অবসর নেওয়ার দিনেও তিনি বলে গিয়েছেন, তাঁর দায়ের করা মামলা চালিয়ে যাওয়া উচিত কমিশনের। নিজের সম্পর্কে সদ্য প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মূল্যায়ন ছিল, “আমি লড়াকু মহিলা।”

নিজস্ব সংবদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩১
নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়। - নিজস্ব চিত্র

নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়। - নিজস্ব চিত্র

নির্দিষ্ট সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চেয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিদায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। এমনকী অবসর নেওয়ার দিনেও তিনি বলে গিয়েছেন, তাঁর দায়ের করা মামলা চালিয়ে যাওয়া উচিত কমিশনের। নিজের সম্পর্কে সদ্য প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মূল্যায়ন ছিল, “আমি লড়াকু মহিলা।”

তবে মীরাদেবীর ছেড়ে যাওয়া পদে বসে নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, “আমি লড়াই করতে আসিনি। আমি মনে করি না, একটি প্রতিষ্ঠানের সব সময় যুদ্ধ করে যাওয়া উচিত।” তাঁর বক্তব্য, সকলকে নিয়ে ঠিক সময়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। এ দিনই দুপুরে সুশান্তবাবু রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কার্যভার গ্রহণ করেন।

নতুন কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, ১৭টি পুরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁর পূর্বসূরির দায়ের করা মামলা আদালতের নিয়ম মেনেই চলবে। তিনি বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি নয়। ফলে একক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।” পঞ্চায়েত ও পুর-নির্বাচনকে ঘিরে কমিশন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে আইনি বিরোধ নিয়ে সুশান্তবাবুর বক্তব্য, দেশের সব রাজ্য নির্বাচন কমিশন এক আইনে চললেই ভাল। সে-ক্ষেত্রে রাজ্যের নিজের মতো করে কিছু করার সুযোগ থাকবে না। নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, এই পদ যে-হেতু সাংবিধানিক, তাই প্রয়োজনে মুখ্যসচিব বা ডিজি-কে তিনি ডাকতেই পারেন। তাঁরা না-এসে প্রতিনিধিও পাঠাতে পারেন।

সুশান্তবাবুর আগে যাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন, তাঁরা সকলেই ছিলেন আইএএস। এ দিন কথা প্রসঙ্গে তিনি নিজেই বলেন, “এটা ঠিকই যে, আমার আগের সকলেই আইএএস ছিলেন, ‘হেভিওয়েট অফিসার’। আমি ডব্লিউবিসিএস, ‘লাইটওয়েট’। তাই তাঁদের কাজের সমালোচনা করব না।” কথায় কথায় কাজের প্রথম দিনেই সুশান্তবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, “মেয়াদের চার বছরই যে এই পদে থাকতে হবে, কে বলেছে? তেমন হলে আগেও চলে যেতে পারি।”

state election commission meera pandey sushantaranjan upadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy