ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন। —ফাইল চিত্র।
তিন দিন আগে বিমান ‘দুর্ঘটনায়’ রাশিয়ার বেসরকারি সেনাবাহিনী ওয়াগনার-এর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল রুশ সংবাদমাধ্যম। শনিবার রুশ তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে দশটি দেহ। মিলেছে ‘ফ্লাইট রেকর্ডার’-ও। দেহগুলির জিনগত পরীক্ষা করে পরিচয় জানার চেষ্টা হবে।
গত বুধবার বিকেলে রাশিয়ার তের অঞ্চলে ভেঙে পড়ে ‘এমব্রেয়ার লেগাসি ৬০০’ নামে একটি বিমান। মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী বিমানটির যাত্রী-তালিকায় ছিল প্রিগোঝিনের নামও। ছিল তাঁরই এক সহকারী দিমিত্রি উটকিনের নামও। এই তালিকা দেখে মস্কোর তরফে জানানো হয়, বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রিগোঝিন, যদিও তা নিশ্চিত ভাবে বলা হয়নি। ‘দুর্ঘটনা’ কথাটি মানতে চায়নি ওয়াগনার। তাদের সঙ্গে যুক্ত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের তরফে দাবি করা হয়, বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে রুশ বাহিনীই। যদিও, ঘটনাটি ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করে ওয়াগনারের দাবি খারিজ করে মস্কো।
শুক্রবার দেহগুলি উদ্ধার হওয়ার পরে রুশ তদন্তকারী সংস্থার তরফে সমাজমাধ্যমে করা একটি পোস্টে জানানো হয়, দেহগুলি শনাক্ত করার অবস্থায় নেই। তাই সেগুলির জিনগত বিশ্লেষণ করা হবে। এর থেকে তাঁদের পরিচয় জানা সম্ভব হবে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ‘রেকর্ড বক্স’-টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর অক্টোবরে কিছু রুশ সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, কঙ্গোর একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রিগোঝিনের। তবে কিছু দিনের মধ্যেই অন্য কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, প্রিগোঝিন রাশিয়া ছেড়ে অন্যত্র যাননি। তাই ওই বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই কিছু মাস আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ভাড়াটে বাহিনীর সাহায্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ৬২ বছরের প্রিগোঝিন। তবে আচমকাই তা থেমে যায়। মনে করা হয়, প্রিগোঝিন হয়তো বেলারুসে গিয়েছেন মধ্যস্থতা করতে। এর পর থেকেই প্রকাশ্যে আসেননি তিনি। একটি ভিডিয়ো-বার্তায় ওয়াগনার বাহিনীতে নতুন ‘যোদ্ধা’ নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy