প্রতীকী ছবি।
অনেক দিন ধরে সন্ধান মিলছিল না। সম্প্রতি টেক্সাসের বাসিন্দা ফ্রেডি ম্যাকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। একাই থাকতেন। সঙ্গী বলতে ছিল পোষ্য ১৮টি কুকুর। তদন্ত এগোতে জানা গেল, তাঁর ‘খুনিরা’ রয়েছে বাড়িতেই। পোষ্য কুকুররাই খেয়ে ফেলেছে ফ্রেডিকে!
টেক্সাসের ভেনাসে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন ফ্রেডি। মে মাসে ফ্রেডির নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার খবর আসে পুলিশের কাছে। এক আত্মীয় এসে জানান, গত কয়েক সপ্তাহ তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিছু আত্মীয়স্বজনও ফ্রেডির বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর পোষ্যরা এমন হিংস্র হয়ে উঠত, যে ভয়ে ঢুকতে পারতেন না কেউ। শেষে ড্রোন উড়িয়ে প্রথমে তাঁদের গতিবিধি লক্ষ করা হয়। তার পর কোনও মতে তাদের নজর ঘুরিয়ে ফ্রেডির বাড়িতে ঢোকেন শেরিফ ও তাঁর দলবল। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও বাড়ির কোথাও ফ্রেডির দেখা মেলেনি। এর পর হাসপাতাল, জেল, দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করা হয়। কোত্থাও নেই ৫৭ বছর বয়সি ফ্রেডি।
প্রথম সন্দেহ ঘোরে কুকুরদের দিকে যখন বাড়ির মধ্যে হাড়গোড় মেলে। তার পরে জামাকাপড়ের ছেঁড়া টুকরো, জুতো। পরীক্ষা করে দেখা যায়, কাপড়টি ফ্রেডির জামার। এর পরেই ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায় হাড়টি ফ্রেডির। কুকুরদের মল পরীক্ষা করে দেখতেই উত্তর হাতে। ১৮টি কুকুর মিলে খেয়েছে তাদের মালিককে। তবে তারা জ্যান্তই খেয়েছে, নাকি অসুস্থ ফ্রেডি মারা যাওয়ার পরে ওই কাণ্ড ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy