রাত তখন আটটা হবে। বড়দিনের আগে কেনাকাটার ভিড়ে ঝলমল করছিল ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরের বড়দিন মার্কেট। আচমকা গুলির শব্দে কেঁপে উঠল চত্বর। পর পর অনেকগুলো। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাজারের
মাঝে বড় ক্রিসমাস ট্রি-র পাশে লুটিয়ে পড়লেন একের পর এক জন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল বাজারের চেহারাটা। আলো ঝলমলে ক্রিসমাস মার্কেট তখন রক্তাক্ত বধ্যভূমি। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। জখম ১৩। তার মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রাথমিক ভাবে এটি জঙ্গি হামলা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে আততায়ী পলাতক। বুধবার পর্যন্ত পুলিশ, সেনা, হেলিকপ্টার বাহিনী মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ জন ওই হামলাকারীর খোঁজে নেমেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যামেরা দেখে খোঁজ মিলেছে ২৯ বছরের ওই হামলাকারীর। তাকে আপাতত শেরিফ বলে চিহ্নিত করা গেলেও তার প্রকৃত নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। খুনের চেষ্টা-সহ বহু মামলার অভিযুক্ত শেরিফ আগে জেলও খেটেছে। কট্টরপন্থী শেরিফ কোনও জেহাদি দলের মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে এই হামলা চালিয়েছে বলেই পুলিশের অনুমান। ২০১৬ সালে জার্মানির বার্লিনে এমনই এক ক্রিসমাস মার্কেটে হামলা চালিয়ে ১২ জনকে পিষে মেরেছিল এক আইএস জঙ্গি। তবে স্ত্রাসবুর্গের ঘটনায় কোনও জঙ্গি দল এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এই হামলার ঘটনায় দেশ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জার্মানির সীমান্ত ঘেঁষা স্ত্রাসবুর্গ এখন কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। পুলিশের একাংশের মতে, হামলা চালিয়ে অন্য দেশে পালানোর সুযোগ থাকায় স্ত্রাসবুর্গ জঙ্গিদের নিশানায় ছিল।
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বুধবার টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলার বিষয়টি আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ফ্রান্সে হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা সীমান্তগুলোয় নিরাপত্তা আরও জোরদার করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy