বন্দুকবাজের হামলার যেন শেষ নেই আমেরিকায়। একই দিনের দু’টি আলাদা ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫। দু’টি ক্ষেত্রেই এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পরে আত্মঘাতী হয়েছে দুই হামলাকারী। অবশ্য প্রাথমিক তদন্তের পরে কোনওটিকেই জঙ্গি হামলা বলছে না প্রশাসন। পুলিশের অনুমান, কর্মক্ষেত্রে কোনও অপমানের প্রতিশোধ নিতেই এই জোড়া হামলা।
প্রথম ঘটনাটি হিউস্টনের একটি গাড়ির দোকানে। বিএমডব্লিউ–এর মতো বিলাসবহুল গাড়ি সারাইয়ের ক্ষেত্রে এলাকায় রীতিমতো পরিচিত নাম ‘বিমার প্লাস’। শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ হঠাৎই সেখানে হানা দেয় এক বন্দুকবাজ। এক সময়ে সে এখানকারই কর্মী ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, কর্মক্ষেত্রে কোনও বিবাদের সূত্রেই দোকানে ঢুকেই সে দুই কর্মীকে লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে। তখনই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু তত ক্ষণে তাণ্ডব চালিয়ে দোকানের বাইরে এসে আত্মঘাতী হয়েছে ওই হামলাকারী। ঘটনার সময়ে যে হেতু ওই দোকানে কর্মচারী-ক্রেতাদের ভাল ভিড় ছিল, তাই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারতো বলে অনুমান তদন্তকারীদের। নিহত দুই কর্মী ও আত্মঘাতীর পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ।
নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি হিউস্টন থেকে প্রায় ১৩০০ মাইল দূরে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচ শহরের ঘটনাটিতেও। এখানকার একটি আইনি প্রতিষ্ঠানে এসে হামলা চালায় বন্দুকবাজ। ব্যস্ত বহুতলে গুলি চলছে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্রাণের ভয়ে তত ক্ষণে বিস্তর হুড়োহুড়ি প়ড়ে গিয়েছে অফিস-পাড়ায়। এখানেও দু’জনকে গুলি করে আত্মঘাতী হয় ওই হামলাকারী। তবে এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই আইনি প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, আততায়ী অফিসেরই প্রাক্তন কর্মী।
কিন্তু কীসের জেরে এমন খুনে তাণ্ডব? ভেবে তল পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। বছর চল্লিশের অ্যাগনেস দীর্ঘ দিন ধরে এই অফিস-বিল্ডিংয়েরই পাশের একটি আবাসনে থাকেন। তার কথায়, ‘‘আমাদের শান্তিপূর্ণ এলাকায় যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, কোনও দিন ভাবতেই পারিনি। ভিতরে এলোপাথাড়ি গুলি চলছে, আর বাইরের সিঁড়ি দিয়ে লোকে হু়ড়মুড়িয়ে নামছে... আর মাথার উপর চক্কর কাটছে পুলিশের হেলিকপ্টার— এটা একেবারেই ভাল ইঙ্গিত নয়।’’ কেউ আবার বলছেন, ‘‘যে কেউ যখন-তখন হাতে বন্দুক পেয়ে গেলে এটাই হওয়ার ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy