Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Blue Whale Game

‘ব্লু হোয়েল’ অ্যাডমিন এই কিশোরী রাশিয়ায় গ্রেফতার

রুশ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত কিশোরী নিজে এক সময় ওই মারণ খেলায় অংশ নিয়েছিল। তবে চ্যালেঞ্জের শেষ ধাপ পর্যন্ত যাওয়ার আগেই খেলা ছেড়ে দেয় সে। নিজের প্রাণ দিতে রাজি ছিল না ওই কিশোরী। পরিবর্তে ‘ব্লু হোয়েল’-এরই একজন সক্রিয় অ্যাডমিন বা কিউরেটর হয়ে ওঠে।

‘ব্লু হোয়েল’ গেম নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা ছিল রাশিয়ার এই ১৭ বছরের কিশোরীর। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

‘ব্লু হোয়েল’ গেম নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা ছিল রাশিয়ার এই ১৭ বছরের কিশোরীর। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ১৭:৪৯
Share: Save:

দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। বাড়ছে একের পর এক আত্মহত্যা। ব্লু হোয়েল সামলাতে গিয়ে থই খুঁজে পাচ্ছে না নানা দেশের পুলিশও। এর মধ্যেই এই মারণ খেলার এক অ্যাডমিনকে গ্রেফতার করা গিয়েছে বলে জানাল রাশিয়ান পুলিশ। নাম না জানানো বছর সতেরোর ওই কিশোরীই বর্তমানে ‘ব্লু হোয়েল’-এর মাস্টারমাইন্ড বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকেই শুরু হয়ে দ্রুত বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই ডার্ক ওয়েব গেম। এই গেমের দুই উদ্ভাবককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সদ্য ধরা পড়া কিশোরী তার পর থেকে এই গেম ছড়ানো এবং নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা নিয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘ব্লু হোয়েলে ঢোকা যায়, বেরনো যায় না’, সুইসাইড নোটে লিখে আত্মঘাতী ছাত্র

রুশ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত কিশোরী নিজে এক সময় ওই মারণ খেলায় অংশ নিয়েছিল। তবে চ্যালেঞ্জের শেষ ধাপ পর্যন্ত যাওয়ার আগেই খেলা ছেড়ে দেয় সে। নিজের প্রাণ দিতে রাজি ছিল না ওই কিশোরী। পরিবর্তে ‘ব্লু হোয়েল’-এরই একজন সক্রিয় অ্যাডমিন বা কিউরেটর হয়ে ওঠে। খেলায় অংশগ্রহণকারীদের নানা ভাবে ফুসলে বা ব্ল্যাকমেল করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাওয়াই ছিল তার কাজ। অ্যাডমিন হওয়ার পর নিজের মতো করে ৫০টি টাস্ক সাজাত ওই কিশোরী। ৫০ দিনের মধ্যে ওই টাস্ক শেষ করে প্রমাণ স্বরূপ অ্যাডমিনকে ছবি বা ভিডিও পাঠাতে হত। যার মধ্যে ছিল নিজেকে আঘাত করা থেকে শুরু করে নানান কিছু। শেষ পর্যায়ে ছিল আত্মহত্যা। পুলিশ জানিয়েছে, এমন কিছু টাস্ক রাখা হত খেলায় যাতে অংশগ্রহণকারীরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে এবং আত্মহননের পথ বেছে নেয়। ইতিমধ্যেই নীল তিমির ফাঁদের পড়ে বিশ্বের নানা দেশে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এ দেশে আত্মঘাতী হয়েছে চারজন।

আরও পড়ুন: ব্লু হোয়েলের গুগল সার্চে বিশ্বে সবার উপরে কলকাতা!

রাশিয়ার তদন্তকারী দল জানিয়েছে, ‘ব্লু হোয়েল’ চ্যালেঞ্জে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের নানা ভাবে আত্মঘাতী হওয়ার প্ররোচনা দিয়েছে ওই কিশোরী। যারা আত্মহত্যা করতে রাজি হয়নি তাদের খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কখনও তাদের গোপন তথ্য ফাঁস, আবার কখনও তাদের পরিবারের কোনও সদস্যকে খুনের হুমকিও দেয় সে। কিশোরীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই খেলার অন্যতম উদ্ভাবক ফিলিপ বুডাকিনের পোট্রেট পেয়েছে পুলিশ। বছর বাইশের ফিলিপ বর্তমানে জেলবন্দি। চলতি বছরের জুলাইতেই এই খেলার মূল উদ্ভাবক বছর ছাব্বিশের ইলা সিডরভকে মস্কো থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনলাইনে এই মারণ খেলা তারই তৈরি বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিল ইলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE