Advertisement
E-Paper

লটারিতে পাওয়া বিপুল পরিমাণে অর্থ প্রেমিকার কাছে গচ্ছিত, তরুণী পালালেন অন্য প্রেমিকের সঙ্গে

ওই যুবক জানান, লটারিতে জেতা টাকা হাতে পেতে গিয়েই সমস্যায় পড়েন তিনি। তাঁর কাছে বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় তিনি নিজে পুরস্কার দাবি করতে পারছিলেন না। পরে নিজের প্রেমিকার পরিচয়পত্র দিয়ে লটারির টাকা আদায় করেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ ১৫:৪২
A man gave 30 crore lottery winning prize money to his girlfriend, after that she ran away with her lover

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক লটারিতেই ৩০ কোটির মালিক। তবে সেই টাকা ভোগ করার সুযোগ পেলেন না কানাডার বাসিন্দা লরেন্স ক্যাম্পবেল। লটারিতে জেতা টাকা নিয়ে অন্য প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন লরেন্সের প্রেমিকা! তাঁর বিরুদ্ধেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হলেন লরেন্স। তাঁর দাবি, ‘‘বিচার চাই! আমার টাকা ফেরত চাই।’’

কানাডার উইনিপেগের বাসিন্দা লরেন্স। ২০২৪ সালে তিনি একটি লটারি কাটেন। সেই লটারিই জেতে প্রথম পুরস্কার। পুরস্কারমূল্য ৫০ লক্ষ কানাডিয়ান ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ কোটি)। কিন্তু জেতা টাকা হাতে পেতে গিয়েই সমস্যায় পড়েন লরেন্স। তাঁর কাছে বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় তিনি নিজে পুরস্কার দাবি করতে পারছিলেন না। কী ভাবে টাকা পাওয়া যায়? ওই লটারি কোম্পানির এক কর্তার পরামর্শেই লরেন্স তাঁর তৎকালীন প্রেমিকা ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাককে নিয়ে গিয়েছিলেন পুরস্কার নিতে। লরেন্স দাবি করেন, লটারি তিনি জেতেননি, জিতেছিলেন তাঁর প্রেমিকা।

লরেন্স জানান, সেই সময় তিনি তাঁর প্রেমিকাকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেছিলেন। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের সম্পর্ক ছিল। এমনকি, একত্রবাসও (লিভ-ইন) করতেন তাঁরা। যেহেতু তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা বৈধ পরিচয়পত্র ছিল না, সেই কারণে প্রেমিকার নামেই লটারি জেতা টাকা তোলেন লরেন্স। ‘ওয়েস্টার্ন কানাডা লটারি কর্পোরেশন’ লরেন্সের দাবিমতো তাঁর প্রেমিকার ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেয়।

লরেন্সের দাবি, প্রথম দিকে সব ঠিকঠাকই ছিল। লটারির সঙ্গে ছবিও তোলেন লরেন্স এবং তাঁর প্রেমিকা। তবে সেই ছবি তুলতে ক্রিস্টাল যে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলেন না, তা তখনই বুঝতে পারেন লরেন্স। তবে বিষয়টিতে খুব একটা পাত্তা দিতে চাননি তিনি।

লটারি জেতার পরের দিনকয়েক লরেন্স এবং ক্রিস্টাল এক সঙ্গেই ছিলেন। তবে লরেন্সের কথায়, ‘‘এক দিন সকালে উঠে আমি দেখি ক্রিস্টাল নেই। পরিচিতদের কাছে খবর নিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কয়েক দিন পর আমি যখন তাকে খুঁজে পেলাম, তখন দেখি ত্রিস্টাল অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। তাঁর সঙ্গেই থাকছে।’’ লরেন্স যখন বুঝতে পারলেন, ক্রিস্টাল যখন আর তাঁর কাছে ফিরে আসবেন না, তখন লটারি জেতার টাকা দাবি করেন। কিন্তু লটারির টাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন ক্রিস্টাল। তার পরেই লরেন্স আদালতের দ্বারস্থ হন। যদিও আদালতে ক্রিস্টালের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য!

Bizarre Incident Lottery Win Canada
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy