গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
উদ্দেশ্য ছিল, নিজের নেওয়া টিকার শংসাপত্রের ব্যাচ নম্বর টিকায় অনাগ্রহীদের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দু’পয়সা কামানো। ভালই চলছিল কারবার। কিন্তু কাল হল, পর পর দু’দিন টিকার লাইনে দাঁড়ানো। ধরা পড়ে গেলেন ৬০ বছরের প্রৌঢ়।
দেখা গেল, একটি, দু’টি নয়, একেবারে ৯০টি টিকা নিয়ে ফেলেছেন তিনি! এক বার করে টিকা নেন, আর সেই টিকার শংসাপত্রের ব্যাচ নম্বর বিক্রি করে কড়কড়ে নগদ পকেটে পোরেন।
ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানিতে। পূর্ব জার্মানির ম্যাগডেবার্গের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ় এমনিতে তেমন কিছুই করেন না। কিন্তু করোনার টিকা আবিষ্কার যেন তাঁর কাছে শাপে বর হল। কারণ, জার্মানি-সহ প্রথম বিশ্বের বহু দেশেই টিকায় অনাগ্রহীদের সংখ্যা প্রচুর। প্রৌঢ় করলেন কী, নিজেই ডজন ডজন টিকা নিয়ে, প্রতিটি টিকার জন্য শংসাপত্রে যে ব্যাচ নম্বরের উল্লেখ থাকে, তা টিকা নিতে আগ্রহী নন, এমন ব্যক্তিদের নগদের বিনিময়ে বিক্রি করতে থাকলেন। এ ভাবেই বিভিন্ন টিকাকেন্দ্র থেকে রকমারি করোনার টিকা নিতেন প্রৌঢ়, আর ব্যাচ নম্বর বেচে দিতেন অনাগ্রহীদের কাছে। এ ভাবে ভালই চলছিল। কিন্তু বিপদ হল, পর পর দু’দিন একই টিকাকেন্দ্রে টিকা নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে। মুখ চেনা ঠেকায় তাঁকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতেই ধরা পড়ে যায়, ৯১ তম বার টিকা নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ায় টিকাটি আর নেওয়া হয়নি।
তাঁকে পুলিশ আটক করেনি। তবে রয়েছেন কড়া নজরে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শহর ছেড়ে বেরনো বারণ। তাঁর হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে টিকা নেওয়ার ভুয়ো কার্ড। জার্মানির সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে, জার্মানিতে দেওয়া হচ্ছে এমন সমস্ত রকম করোনার টিকাই নিয়ে ফেলেছেন ওই প্রৌঢ়। এক জন প্রৌঢ় তিন বারের জায়গায় ৯০ বার টিকা নিলে, তাঁর শরীরে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা নিয়েই এখন চিন্তিত চিকিৎসকেরা। প্রৌঢ় দৃশ্যত বহাল তবিয়তে আছেন। তবে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ায়, খানিক বিড়ম্বিত তো বটেই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy