Advertisement
১০ মে ২০২৪
Afghanistan Crisis

Amrullah Saleh: সালেহ্‌-র ডেরায় তালিবান! আমরুল্লার আলমারির সামনে বন্দুক বাগিয়ে তালিব-ছবি ভাইরাল

একই বইয়ের আলমারির সামনে বসে আমরুল্লা সালেহ্‌ শেষ বার্তায় বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবেন।

এই ছবি ঘিরেই তোলপাড়।

এই ছবি ঘিরেই তোলপাড়। টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
কাবুল শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৪০
Share: Save:

আফগানিস্তানে তালিবান বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন গনি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্‌। পরিস্থিতি যেমনই হোক, একটি বইয়ের আলমারির সামনে বসে সালেহ্‌ নিয়মিত সমর্থকদের বার্তা দিতেন। তাঁদের বরাভয় দিয়ে বলতেন, ধৈর্য ধরলেই খেলা ঘুরবে!

শুক্রবার সালেহ্‌-র ভাই রোহুল্লাকে নৃশংস ভাবে খুন করে তালিবান। আর তার পরই ভাইরাল হল একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সালেহ্‌ যে বইয়ের আলমারির সামনে বসে নিয়মিত বার্তা রেকর্ড করতেন, সেই আলমারির সামনে বন্দুক হাতে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন এক তালিবান যোদ্ধা। তা হলে কি আমরুল্লার ডেরাতেও তালিবানি কব্জা? প্রতিরোধের কি ইতি? ছবিটি শেয়ার করেছেন, আফগানিস্তানের একাধিক তালিবান পন্থী সাংবাদিক।

একই বইয়ের আলমারির সামনে বসে সালেহ্‌ শেষ যে বার্তাটি রেকর্ড করেছিলেন, তাতে বলেছিলেন, শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকতে তিনি তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন। পঞ্জশির ছেড়ে কোথাও যাবেন না। তার কয়েক দিনের মধ্যেই সেই আলমারির সামনে বসে তালিবান যোদ্ধার ছবি প্রকাশ্যে এল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি পঞ্জশির উপত্যকায় তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ শেষ?

দ্বিতীয় বার আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই তালিবান দাবি করছে, পঞ্জশির প্রদেশেও তাঁদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বারবারই তালিবানের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আমরুল্লা সালেহ-আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ)। এ বার প্রকাশ্যে এল এমন এক ছবি, যা দেখিয়ে তালিবান দাবি করছে, সমস্ত প্রতিরোধের ইতি। সালেহ্‌ কি তালিবানি দাবি ভুল প্রমাণ করতে প্রকাশ্যে আসবেন? আফগানিস্তানে তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ নির্ভর করছে তার উপর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE