পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে তৃতীয় একটি দেশ! বিষয়টি নাকি পাকিস্তান স্বীকারও করেছে। এমনই দাবি করল আফগান সংবাদমাধ্যম ‘টোলো নিউজ়’। সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে শনিবার তুরস্কের আঙ্কারায় বৈঠকে বসেছিল দুই দেশ। তিন দিনের বৈঠকের পরেও রফাসূত্র মেলেনি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। অন্য দিকে, ওই বৈঠকেই তৃতীয় দেশের ড্রোন হামলার বিষয়টি পাকিস্তান স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে টোলো নিউজ়। তবে ওই দেশের নাম জানানো হয়নি।
টোলো নিউজ়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় একটি দেশ পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। ওই দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি থাকায় এই ধরনের হামলা ইসলামাবাদ বন্ধ করতে পারছে না বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
পাকিস্তানে দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি। আফগানিস্তানে যে তালিবান ক্ষমতাসীন, তাদেরই একটি শাখা পাকিস্তানি তালিবান। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান এবং ভারতের মদতে এই গোষ্ঠী পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালায়। কাবুল এবং নয়াদিল্লি বার বার এই দাবি অস্বীকার করেছে। চলতি মাসের শুরুতে আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে পাকিস্তানি সেনার যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তার নেপথ্যেও ছিল এই গোষ্ঠী।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলা এবং তার পরবর্তী সময়ে তালিবান সরকারের জবাব দুই দেশের সীমান্তকে উত্তপ্ত করে তুলেছিল। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও তলানিতে। গত ১৮ অক্টোবর কাতারের রাজধানী দোহাতে প্রথম দফার বৈঠকে বসেছিল পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। ওই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মৌলবি মহম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ ও খোয়াজা আসিফ। তবে দীর্ঘ বৈঠকের পরেও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারেনি কাবুল এবং ইসলামাবাদ।