হেরাটের জামা-এ-মসজিদে হামলার পর।
যে দিন ২৩টি দেশের ‘শান্তি সম্মেলন’ (কাবুল প্রসেস) শুরু হল, সে দিনই তুমুল অশান্তি কাবুলে।
টোলো নিউজের খবর, সকালে কাবুলে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে রকেট হামলার কিছু পরেই তুমুল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পশ্চিম হেরাট প্রদেশের জাম-এ-মসজিদ চত্বর। বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন ৭ জন। জখমের সংখ্যা অন্তত ১৫।
তার আগে, মঙ্গলবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঠিক কোন অঞ্চল থেকে রকেটটি ছোড়া হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কাবুলে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার মনপ্রীত ভোরা যে বাড়িতে থাকেন, সেই ইন্ডিয়া হাউস চত্বরেই রকেটটি আঘাত হেনেছে। তবে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ইন্ডিয়া হাউজ কম্পাউন্ডের স্পোর্টস কোর্টে রকেটটি আছড়ে পড়েছে বলে খবর। শুধু ভারতীয় দূত মনপ্রীত ভোরা নন, দূতাবাসের অন্য কর্মীরাও থাকে ওই কম্পাউন্ডেই থাকেন। এই হামলায় কারও ক্ষতি হয়নি। তবে ভারতীয় দূতাবাস এবং আশপাশের অন্যান্য দূতাবাস ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কাবুলের বিভিন্ন অংশে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ভারতীয় দূতাবাসে হামলা হওয়ার আগে কাবুলে আয়োজিত শান্তি সম্মেলন ‘কাবুল প্রসেস’-ও এ দিন সন্ত্রাসবাদীদের নিশানা হয়ে উঠেছিল। সম্মেলন স্থলের কাছেই এ দিন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে খবর। তালিবান আতঙ্ক মুছে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যেই কাবুল প্রসেসের আয়োজন। ২৩টি দেশের এই সম্মেলনে ভারতও অন্যতম অংশীদার। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি এ দিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের কিছু পরেই তা জঙ্গিদের লক্ষ্য হয়ে ওঠে। তবে সেই হানাতেও হতাহতের কোনও খবর নেই।
আরও পড়ুন- কাবুলে ভারতীয় দূতের বাসভবনে রকেট হামলা, বিস্ফোরণ শান্তি সম্মেলনেও
কাবুল শহরতলির যে এলাকায় ভারতীয় দূতাবাস রয়েছে, অন্য অনেকগুলি দেশের দূতাবাসই সেই এলাকাতেই। আফগান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলিও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানেই। প্রশাসনিক এবং কূটনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, ওই এলাকাকে সারা বছরই প্রায় দুর্গ বানিয়ে রাখে আফগান সরকার। তা সত্ত্বেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে পর পর দু’বার ভারতীয় দূতাবাস জঙ্গিদের লক্ষ্য হয়ে উঠল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy