ইরানি সেনার হানায় গোপন ডেরা ধ্বংস সিরিয়ায়। ছবি: রয়টার্স।
সিরিয়া, ইরাকের পর এ বার পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান। জঙ্গি সংগঠন জইশ আল অদলের ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে দাবি তাদের। ইরাকের কুর্দিস্তান এবং সিরিয়ায় ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের গোপন ডেরায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরেই এই হানা। এই হামলায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের। একই সঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই ধরনের হামলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এমনকি পরবর্তীকালে এর ফল ভুগতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, পাকিস্তান-ইরান সীমান্তের ওই জায়গায় জঙ্গিদের দু’টি ঘাঁটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সাহায্যে ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও এই হামলার কথা স্বীকার করেননি বালুচিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই, আবার অস্বীকারও করেননি। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। আচাকজাই বলেন, “এ নিয়ে বিবৃতি দেবে পাক সেনা।” যদিও পাক সেনার তরফ থেকে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি মেলেনি।
এর আগেই ইরাকের কুর্দিস্তান এবং সিরিয়ায় ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের গোপন ডেরায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করল ইরান। তেহরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার জানিয়েছিল, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় কুর্দিস্তানে মোসাদের সদর দফতর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যদিও ইরাকের ‘কুর্দিস্তান স্বশাসিত অঞ্চলের’ প্রধানমন্ত্রী মসরুর বরজ়ামি মঙ্গলবার ইরানের দাবি খারিজ করে বলেন, ‘‘ওখানে মোসাদের কোনও ঘাঁটি ছিল না। অসামরিক বসতিপূর্ণ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁরা সকলেই সাধারণ নাগরিক।’’ ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরাক হামলা চালিয়েছে এলিট ‘রেভলিউশনারি গার্ড’ বাহিনী। অন্য দিকে, সিরিয়ার হানাদারি দায়িত্বে ছিল সে দেশের গৃহযুদ্ধে অংশ নেওয়া ইরানি সেনা। হামাস-ইজ়রায়েল সংঘাতের প্রভাবে ক্রমশ জটিল হচ্ছে এশিয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy