ফ্রিজের মধ্যে স্বযত্নে সারি দিয়ে রাখা রয়েছে মেয়েদের যৌনাঙ্গ। কোনওটাতে আবার তখনও রক্তের ছাপ স্পষ্ট। ঘরের দেওয়ালে ঝুলছে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া যৌনাঙ্গ। কোনও সাইকোথ্রিলার সিনেমার দৃশ্য নয়। এই ঘটনা বাস্তবের। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেনের। যেখানে আক্রান্ত স্ত্রী-ই তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে স্বামীর এই বিকৃত যৌন লালসার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। পিটার ফ্রেডরিকসেন নামে ৬৩ বছরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তার এই কীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে স্ত্রীর জেনিটাল কেটে উপরে নেয় পিটার। বুধবারের এই ঘটনার পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পিটারের স্ত্রী ২৮ বছরের অ্যানা মলিসকে। কিছু ক্ষণের মধ্যে সেখানেই মারা যান তিনি। কিন্তু মৃত্যুর আগে স্বামীর সব কীর্তি ফাঁস করে দেন পুলিশকে। জানান, তাঁর যৌনাঙ্গ ছেদ করার আগে পিটার তাঁকে মাদক নিতে বাধ্য করে। তারপর ছুরি দিয়ে যৌনাঙ্গে ছেদ করে তা বের করে আনে। পুলিশ পিটারের বাড়ি তল্লাশি করে ১০টি স্ত্রী যৌনাঙ্গের অংশ উদ্ধার করেছে। যেগুলি ফ্রিজে রাখা ছিল। ঘরের দেওয়াল থেকেও কাটাছেঁড়া যৌনাঙ্গের বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে বেশ কিছু পর্ন ভিডিও, শিশুদের পর্ন ছবি। উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ছুরি কাঁচিও। বাড়িতে রাখা যৌনাঙ্গের অংশগুলি কাদের তা তদন্ত করছে পুলিশ। শুধু কি বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য পিটার এমন করত! না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy