আলেক্সেই নাভালনি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতা খবরের শিরোনামে এসেছে বারবার। এমনকী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ‘আঁতাঁত’-এর কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে রাশিয়াতে ক্রেমলিন-বিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক ধরপাকড় নিয়ে শেষ অবধি নিন্দাই জানাল আমেরিকা। পুতিনের সমালোচনায় মুখর ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি রাশিয়ায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে ইচ্ছুক এক প্রতিবাদী, আলেক্সেই নাভালনি রয়েছেন তার পুরোভাগে। রবিবার ক্রেমলিন নাভালনি-সহ প্রায় ৫০০ প্রতিবাদীকে আটক করেছে। সোমবার আদালত ১৫ দিনের জন্য জেলে পাঠিয়েছে নাভালনিকে। পুলিশের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে’র এই কণ্ঠরোধ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আঘাত বলে মন্তব্য করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ দফতর টুইট-বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘রবিবার রাশিয়া জুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়েছে। আমেরিকা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকদের আটক করা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরোধী।’’
বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ‘দুর্নীতি’ নিয়ে গত ন’বছর ধরেই সরব আলেক্সেই নাভালনি। ব্লগে লেখালেখি করতেন। ক্রমে শাসক দল ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’-র কট্টর বিরোধী স্বর হিসেবে উঠে আসেন তিনি। প্রকাশ্যে শাসক দলকে ‘চোরের দল’ বলতেও ছাড়েননি।
পুতিনের কড়া সমালোচক নাভালনি ২০১১ সালের ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে বিরাট প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে বারও তাঁকে ১৫ দিনের জন্য জেলে ভরা হয়েছিল। তার পর এই রবিবারের মিছিলই রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। গত কাল বিক্ষোভ ছুঁয়েছিল সেন্ট পিটার্সবার্গ, মস্কো, ভ্লাদিভস্তকের মতো অনেক শহরই। যদিও ক্রেমলিনের দাবি, পয়সা দিয়ে লোক আনা হয়েছিল। যাঁর বিরুদ্ধে এত প্রতিবাদ, সেই মেদভেদেভ-এর মুখে কিন্তু কুলুপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy