শুধু বিএনপি-র সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণের প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা বয়কট করল বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার তারা আলোচনায় যোগ দেয়নি। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মতে, ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় জামায়াতের অনুপস্থিতিকে বয়কট বলা যায় না। আজ, বুধবার তারা আলোচনায় যোগ দেবে বলে আশা প্রেস সচিবের।
সংবিধান সংস্কার নিয়ে এ দিন ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনায় বিএনপি, এনসিপি-সহ অন্য দলগুলি এলেও জামায়াত যোগ দেয়নি। দলেপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল তথা এত দিন আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করা হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘‘একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের সময়সীমা ঠিক করায়, সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর প্রতিবাদে জামায়াত আলোচনায় যায়নি। সরকার অবস্থান পরিষ্কার করবে বলে আমরাআশা করি।’’
জামায়াত সূত্রের খবর, প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে এ দিনের আলোচনা বয়কট করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবারের আলোচনায় তারা ফিরতে পারে। তবে অতীতে আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করা এক নেতা বলেছেন, ‘‘আজ জামায়াত কেন যোগ দেয়নি, তা বোধ হয় কমিশন জানতে চাইবে। তখন জামায়াত দলীয় অবস্থান জানাবে। কমিশনের জবাব সন্তোষজনক হলে জামায়াত আলোচনায় ফিরবে।’’
জামায়াত কেন যোগ দেয়নি তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তিকালীন সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দল ও পক্ষকেই সরকার সমান গুরুত্ব দেয়। কাউকে আলাদা করে দেখছে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)