Advertisement
E-Paper

শৈশব থেকে অভিজিৎকে ভাল করে চিনি: অমর্ত্য সেন

‘আমি উচ্ছ্বসিত! হার্ভার্ডে অভিজিৎদা আমার পিএইচ ডি সুপারভাইজ়র ছিলেন। একসঙ্গে বেশ কিছু প্রবন্ধও লিখেছি।’

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৮

অমর্ত্য সেন বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দারিদ্র বিষয়ে নতুন ধরনের মূল্যবান কাজ এঁরা করেছেন এবং সেই কাজের ফল নানা দিক দিয়েই দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের সাহায্য করবে। আমি নিজে একাধিক কারণেই ভীষণ খুশি। একটা কারণ এই যে, অভিজিৎকে আমি তাঁর শৈশব থেকে ভাল রকম জানি এবং তাঁর চিন্তাশক্তিকে আমি বরাবর বাহবা দিয়ে এসেছি। আমার একমাত্র দুঃখ এই যে, ওঁর বাবা, আমার বন্ধু দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এটা দেখে যেতে পারলেন না। তবে অভিজিতের মা নির্মলা এই উৎসবে যোগ দেবেন, সেটা ভেবেও আনন্দিত
বোধ করছি।’’

বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর কথায়, ‘‘খুবই মজা লাগছে ভেবে, রবিবার রাতেই খাবার টেবিলে বসে বলছিলাম, অভিজিৎ-এস্থার-ক্রেমার নোবেল পেতে পারেন! আমার ছেলে এসেছিল রবিবার। ও অভিজিৎ আর এস্থারের কাছে পিএইচ ডি করল। অভিজিৎদের নোবেলপ্রাপ্তি অসম্ভব ভাল খবর। প্রত্যাশিত খবরও। আরসিটি-র যে ব্যবহার ওঁরা শুরু করেন, এখন গোটা দুনিয়ায় তা ব্যবহৃত হচ্ছে। অভিজিতের খুব ভাল কাজ আছে হার্ড বিহেভিয়র বা সঙ্ঘবদ্ধ আচরণ নিয়েও।’’

লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকসের অধ্যাপক মৈত্রীশ ঘটক বলেন, ‘‘আমি উচ্ছ্বসিত! হার্ভার্ডে অভিজিৎদা আমার পিএইচ ডি সুপারভাইজ়র ছিলেন। একসঙ্গে বেশ কিছু প্রবন্ধও লিখেছি। নোবেলের খবরটা যখন পেলাম, তখন ক্লাসে ওঁদেরই একটা পেপার পড়াচ্ছিলাম। উন্নয়নের অর্থনীতির এক পথিকৃৎ পুরস্কার পেলেন, অর্থনীতির অন্যান্য শাখাতেও তাঁর মৌলিক অবদান আছে।’’

সুগত বসুর কথায়, ‘‘খুব গর্ব হচ্ছে অভিজিতের জন্য। দারিদ্র নিয়ে অর্থনৈতিক গবেষণার ক্ষেত্রে ওঁর কাজ তাত্ত্বিক আর পরীক্ষামূলক ভাবনার মধ্যে সেতুবন্ধন করেছে। অভিজতের এই পুরস্কার প্রাপ্তি শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের মতো জরুরি সমস্যার দিকে নতুন করে দৃষ্টি ফেরাবে।’’

Abhijit Vinayak Banerjee Nobel Prize Amartya Sen
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy