অবৈধ ভাবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক তথা দক্ষিণ এশিয়ার নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাশলে জে টেলিসকে। সেই আবহে এ বার সব অভিযোগ অস্বীকার করলেন অ্যাশলে। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ধৃত অ্যাশলে একজন সম্মানিত পণ্ডিত এবং বরিষ্ঠ নীতি উপদেষ্টা। মার্কিন বিশেষজ্ঞকে নির্দোষ প্রমাণ করতে শীঘ্রই আদালতে লড়বেন তাঁরা।
বুধবার অ্যাশলের আইনজীবী ডেবোরা কার্টিস এবং জন নাসিকাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁদের মক্কেল নির্দোষ। তা ছাড়া, কোনও আইনও ভাঙেননি তিনি। বিবৃতিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘‘অ্যাশলে বিদেশি প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই। আমরা ওঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাব।’’
আরও পড়ুন:
নানা অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ফেডারেল তদন্ত শুরু হয়। ৬৪ বছর বয়সি অ্যাশলের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল নথিপত্র মজুত করে রাখা এবং চিনের আধিকারিকদের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাতের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। শেষমেশ শনিবার তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, টেলিসের ভার্জিনিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে হাজার হাজার পৃষ্ঠার ‘গোপন’ নথি। আরও জানা গিয়েছে, অ্যাশলে ২৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন বিদেশ দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মার্কিন বায়ুসেনার কৌশলগত একটি গোপন নথির প্রতিলিপি করেন বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, গত কয়েক বছরে নাকি বেশ কয়েক বার চিনা কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন টেলিস। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সের একটি রেস্তরাঁয় চিনের এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। ওই আধিকারিকের হাতে একটি মুখবন্ধ খাম তুলে দেন টেলিস। বদলে চিনের কর্তাদের থেকে উপহার নিতেও দেখা যায় তাঁকে।
আপাতত সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে অ্যাশলের, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ২১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার কাছাকাছি।