থর এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র
পুরোপুরি বন্ধ হয়ে ভারত-পাক রেল যোগাযোগ। গতকাল সমঝোতা এক্সপ্রেসের পর শুক্রবার থর এক্সপ্রেসও বাতিল করে দিল পাকিস্তান। পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদের এই ঘোষণার ফলে রাজস্থানের যোধপুর-করাচির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী ঐতিহ্যবাহী শেষ প্যাসেঞ্জার ট্রেনও বন্ধ হয়ে গেল।
বৃহস্পতিবারই রশিদ ঘোষণা করেছিলেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনও ট্রেন চলবে না। এই মন্তব্যের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারই সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। এর পর শুক্রবার রশিদ বলেন, ‘‘আমরা থর এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
শুক্রবার সমঝোতা এক্সপ্রেস ওয়াঘা স্টেশনে আসার পর পাকিস্তানি ট্রেন চালক ও গার্ড ভারতে ঢুকতে অস্বীকার করেন। তার পর ভারতীয় চালক ও রেলকর্মীরা গিয়ে ট্রেনটি চালিয়ে আটারি স্টেশনে নিয়ে আসেন। আজ শুক্রবারই সেই ট্রেন দিল্লিতে পৌঁছেছে। আর আজই পাক রেলমন্ত্রীর থর এক্সপ্রেস বাতিলের ঘোষণা।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরও মুনাবো-খোকরাপার সীমান্ত দিয়ে রাজস্থানের যোধপুর থেকে করাচি পর্যন্ত যাতায়াত করত থর এক্সপ্রেস। সমঝোতা এক্সপ্রেসে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ দু’য়ের অনুমতি থাকলেও থর এক্সপ্রেসে শুধুই যাত্রী পরিবহণ চলত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় এই ট্রেন লাইন কার্যত ধ্বংস হয়ে যায়। তার প্রায় ৪১ বছর পর ২০০৬ সালে ফের এই লাইনে শুরু হয় ট্রেন যোগাযোগ। পাকিস্তানের থর এক্সপ্রেস বাতিলের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দীর্ঘ সেই ইতিহাসেও ছেদ পড়ল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হতাশ করল ‘বন্ধু’ও! দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সমস্যা মেটানোর ডাক চিনের
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ‘আজাদ’ করতে বাংলাতেও লড়াইয়ের ডাক আল কায়দার
ভারত সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার পর থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে একের পর এক পদক্ষেপ করতে শুরু করে ইমরান খানের সরকার। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শনও বন্ধ পাকিস্তানে। পাকিস্তানের ঘোষণায় স্তব্ধ সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। এক গুচ্ছ পদক্ষেপের সঙ্গে শেষ সংযোজন থর এক্সপ্রেস বাতিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy