প্রতীকী চিত্র।
প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেল কানাডার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার দেশের পশ্চিমপ্রান্তের প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় তাপমাত্রা ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। তিনগুন বেড়েছে স্বাভাবিক মৃত্যুর হার। গত পাঁচ দিনে পশ্চিম কানাডার এই প্রদেশে ৪৮৬ জন মারা গিয়েছেন। যেখানে বছরের অন্য সময়ে পাঁচ দিনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় স্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা থাকে ১৬৫।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রধান জন হোরগান অবশ্য জানিয়েছেন, এই মৃত্যু সংখ্যার গোটাটাই যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে, তা বলা যায় না। তবে একসঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা এতটা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে যে তাপমাত্রাই একটা বড় কারণ, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই সঙ্গে হোরগ্যান মেনে নিয়েছেন, ‘‘এই জলবায়ু সঙ্কট যে নেহাৎ কথার কথা বা কল্পনা নয় বরং ঘোর বাস্তব, তা গত কয়েকদিনে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন কানাডা এবং আমেরিকার মানুষ।’’
কয়েক দিন আগেই আমেরিকার নেভাদায় লাস ভেগাসের তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছিল। এ সপ্তাহে সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার শহর ভ্যাঙ্কুভার। রেকর্ড ভাঙা এই তাপমাত্রায় বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দারা। যাঁদের বাড়িতে এসি নেই, তাঁরা হোটেলে এসে উঠেছেন। লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছেন হোটেলে ঘর পাওয়ার জন্য।
বেড়েছে এসি কেনার বহর আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এসির দামও। স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য বলছে, দৈনিক ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হচ্ছে, যা কানাডার ইতিহাসে সর্বকালীন সর্বোচ্চ।
রেকর্ড হয়েছে আপৎকালীন নম্বর ৯১১-এ আসা ফোনেও। প্রবল গরমে প্রশাসনিক সাহায্য চেয়ে মানুষ আপৎকালীন নম্বরে ফোন করছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়া সরকার। তবে এখনই ধৈর্য্য হারাতে রাজি নন জন সুরক্ষা মন্ত্রী মাইক ফ্র্যানওর্থ। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী দিনে আরও বেশি সাবধানী হওয়াকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy