এডিবি-র প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও।
বার্তাটি কি ইঙ্গিতবাহী?
বার বার আর্জি জানানোর পরেও নিজের ভূখণ্ডে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলি নির্মূল করার ব্যাপারে ইসলামাবাদকে তেমন সক্রিয় করতে না পারায় কি পরোক্ষে পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির আন্তর্জাতিক প্রয়াস শুরু হয়ে গেল? তেমনই ইঙ্গিত মিলল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (এডিবি) সাম্প্রতিক পদক্ষেপে। পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বরাবরই যারা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, সেই এডিবি-র প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানে ১৪০০ কোটি ডলারের বাঁধ নির্মাণে অর্থসাহায্য করা এখন সম্ভব হচ্ছে না। ওই প্রকল্পের বিপুল ব্যয়-ভারই এই সিদ্ধান্তের কারণ। বুধবার, মধ্য এশিয়া আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিষদের (সিএআরইসি) মন্ত্রী-পর্যায়ের পঞ্চদশ বৈঠকের পর পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এডিবি-র প্রেসিডেন্ট নাকাও বলেছেন, ‘‘আমরা ওই প্রকল্পে অর্থসাহায্যের ব্যাপারে আগে কোনও অঙ্গীকারও করিনি। এটা বিপুল ব্যয়-ভারের প্রকল্প। তাই কোনও সিদ্ধান্তও নিতে পারিনি। গিলগিট-বাল্টিস্তানে সিন্ধু নদীর ওপর দিয়ামার-ভাসা বাঁধটি হলে তার থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে তা খতিয়ে দেখছিল একটি মার্কিন সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনও চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে এটা ঠিক, পাকিস্তানের শক্তি উৎপাদন ও সেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই প্রকল্প শুরুর জন্য অনেকগুলি অর্থলগ্নি সংস্থার সাহায্য নিতে পারে পাকিস্তান। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী, এডিবি ওই প্রকল্পের শরিক হতে পারে।’’
পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, এই ভাবে ‘বল’টা পাকিস্তানের ‘কোর্টে’ই পাঠিয়ে দিল এডিবি। প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিল, জঙ্গি দমনে ইসলামাবাদ কী ব্যবস্থা নেয়, তার ওপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে!
আরও পড়ুন- কী ভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হল পাকিস্তান? জেনে নিন ১২টি কারণ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy