চলতি সপ্তাহের শেষে এসসিও-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। ফাইল চিত্র।
চলতি সপ্তাহের শেষে এসসিও-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। কিন্তু তার আগে চিন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ভারতের সীমান্তের প্রশ্নে এবং ভূকৌশলগত রাজনীতির প্রশ্নে এই বৈঠকগুলি যথেষ্ট তাৎপর্য বহন করছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
২৭ তারিখ চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুর বৈঠক করার কথা রাজনাথের। আর তার পরের দিন শাংহাই কোঅপারেশন অর্গ্যানাইজ়েশনের বৈঠক দিল্লিতে। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমন সময়ে নয়াদিল্লি আসছেন, যখন ভারত-চিন বিতর্কে প্রকৃত সীমান্ত রেখা গরম হয়ে রয়েছে। পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ এবং থানা গেড়ে বসে থাকার ঘটনা তিন বছর অতিক্রান্ত। ধারাবাহিক ভাবে কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে বৈঠক করার পরেও বরফ গলেনি। ভারতের টহলদারির পোস্ট অর্থাৎ ভারতীয় ভূখণ্ডে বসে রয়েছে চিনা সেনা। ভারতও বিপুল পরিমাণ সেনা সীমান্তে মজুদ করে রেখেছে।
২০২০-তে গালওয়ান সংঘর্ষের পরে এই প্রথম চিনের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রী দিল্লি আসছেন। সূত্রের খবর, লাদাখ সেক্টর থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তাঁকে বলা হবে, সীমান্ত স্বাভাবিক না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হবে। দেশে ফিরে শীর্ষ নেতৃত্বকে এ কথা বলতে বলা হবে লি-কে।
পাশাপাশি, অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দাম মেটানোর উপায় নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে ভারতের পক্ষে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের দাম মেটানোর নিয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ঘনীভূত। এমন নয়, যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা বন্ধ। বরং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে রাজনৈতিক ভাবে তৎপর দু’টি দেশই। কিন্তু ডলার-নিষেধাজ্ঞাকে এড়িয়ে কী ভাবে তা এগোনো যায়, সেই পথ খোঁজা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy