E-Paper

শিকাগোর কাছে বন্দুক হামলায় হত ১, আহত ২২

হামলার সময়ে বাড়িতে বই পড়ছিলেন নিকোল কোজ়নি। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল আমার বাড়ির খুব কাছেই। হঠাৎই হেলিকপ্টারের শব্দ শুনতে পাই। রাস্তায় বেরিয়ে কী হচ্ছে দেখার চেষ্টা করি।”

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ০৬:৫৫
An image of Gun

—প্রতীকী চিত্র।

ফের গুলিতে প্রাণহানি আমেরিকায়। এ বার শিকাগোর শহরতলিতে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার সন্ধের পরে উৎসবের সময়ে নির্বিচারে সেখানে চলল গুলি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি, নিহতের সংখ্যা এক। আহত অন্তত ২২। যদিও স্থানীয়দের একাংশের মুখে শোনা গিয়েছে, গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। সরকারি সূত্রেও ইঙ্গিত, তাদের ঘোষিত নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। হামলাকারীদের হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায়নি পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত কালও ওয়াশিংটন প্রদেশের জর্জ-এ এক সঙ্গীত উৎসবে বন্দুকবাজের গুলিতে দু’জন মারা যান। বন্দুকবাজ-সহ তিন জনের গুলি লাগে।

স্থানীয় শেরিফের দফতর জানিয়েছে, ইলিনয় প্রদেশের শিকাগোর শহরতলি এলাকা উইলোব্রুকের হানিসাকল রোজ় লেন ও রুট ৮৩-এর কাছে একটি মলের পার্কিং লটে স্থানীয় সময় বেলা ১২টা নাগাদ জমা হতে শুরু করেন কিছু মানুষ। তাঁদের ‘জুনটিনথ’ উৎসবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। টেক্সাসে দাসদের মুক্তির পর থেকে এই উৎসবের শুরু। শেরিফের দফতর জানিয়েছে, জমায়েত শান্তিপূর্ণই ছিল। হঠাৎই গুলি ছুড়তে শুরু করে বেশ কয়েক জন হামলাকারী।

দমকল দফতরের ব্যাটেলিয়ন প্রধান জো ওস্ট্রানডার জানিয়েছেন, ১২টি অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থলেই কয়েক জন আহতের প্রাথমিক শুশ্রূষা করা হয়।

ঘটনার সময়ে বাড়িতে বই পড়ছিলেন নিকোল কোজ়নি। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল আমার বাড়ির খুব কাছেই। হঠাৎই হেলিকপ্টারের শব্দ শুনতে পাই। রাস্তায় বেরিয়ে কী হচ্ছে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু তত ক্ষণে ওই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।’’ আর এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্রেগ লোটির কথায়, ‘‘হঠাৎই পরপর গুলির শব্দ শুনতে পাই। ছুটতে শুরু করি। পরে সকলের খোঁজখবর নিই।’’

ঘটনার তদন্তে যোগ দিয়েছে ‘মেট্রোপলিটান ইমার্জেন্সি রেসপন্স ও ইনভেস্টিগেশন টিম’ও। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে ওই এলাকায় গিয়ে তদন্তকারীরা সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। ঘটনাস্থলের তিনটি বাড়ি পরেই একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন রিক ওয়াগনার। বললেন, ‘‘এ বার উৎসবে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন মনে হয়। কারণ, মলের পার্কিং লটে অন্তত ১৫০টি গাড়ি ছিল।’’

ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত আমেরিকান কংগ্রেসের সদস্য শন কাস্টেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘উইলোব্রুকের ঘটনার কথা শুনে আমি মর্মাহত। বাস্তবটা এই যে, আমরা স্কুল, দোকান, ধর্মস্থান বা নিছক বেড়ানোর জন্যও কোথাও গুলিতে হতাহত হওয়ার ভয় ছাড়া যেতে পারি না। এটা চলতে দেওয়া যায় না।’’ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Gun Attack Death Chicago

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy