রেমালে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ উপকূল। ছবি: রয়টার্স।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের অভিঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় ছ’টি জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত। এই ঝড়ে সে দেশের ১৯টি জেলার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সোমবার এ খবর জানিয়েছে।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান সোমবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার সচিবালয়ে রেমাল পরবর্তী ত্রাণ, উদ্ধারকার্য এবং পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠক করেন। চার পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, সোমবার বিকেল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রেমালের অভিঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালি, ভোলা এবং চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীর জেলাগুলিতে বহু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর দু’কোটি ৭০ লক্ষের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন বলে ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত খবরে দাবি। তবে তার মধ্যে তিন লাখ ২১ হাজার সংযোগ আবার দেওয়া হয়েছে বলে ওই খবরে দাবি। তা ছাড়া, ‘ওয়েস্ট জ়োন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ (ওজোপাডিকো)-র প্রায় পাঁচ লক্ষ গ্রাহকও রেমালের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বঞ্চিত।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার রাত ৮টা নাগাদ দিকে মংলা বন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছিল। ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। রাত দেড়টা থেকে ২টো মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১১ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বয়ে গিয়েছে পটুয়াখালির খেপুপাড়ায়। ঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গিয়েছে বহু মাছের ভেড়ি। নোনা জল ঢুকে বহু কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে বলেও প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy