দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে তিনটি কামরায়। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে চলন্ত ট্রেনে দগ্ধ হলেন অন্তত ৭৪ জন যাত্রী, আহত অসংখ্য। বৃহস্পতিবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান এলাকার কাছে লিয়াকতপুরে। নিহতরা সবাই তেজগাম এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। রাওয়ালপিণ্ডি থেকে করাচি যাচ্ছিল ট্রেনটি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সিলিন্ডার ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু যাত্রী চলন্ত ট্রেনে জলখাবার তৈরি করছিলেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে তিনটি কামরায়। দুর্ঘটনার পরেই শুরু হয় উদ্ধারপর্ব। প্রত্যক্ষদর্শী এবং উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন থেকে বাঁচার জন্য চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়েও প্রাণ হারিয়েছেন অনেক যাত্রী। আবার কিছু যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে প্রাণ বাঁচাতেও সক্ষম হয়েছেন।
দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় সেনাবাহিনী, চিকিৎসক, অগ্নি নির্বাপণ কর্মী এবং উদ্ধারকারীরা। একসঙ্গেই চলে উদ্ধার এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ। মুলতান থেকে পাঠানো হয় সেনাবাহিনীর বিশেষ কপ্টারও। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আহতদের জন্য সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
গত পাঁচ মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা হল পাকিস্তানে। সেপ্টেম্বরে চারজন প্রাণ হারান রেল দুর্ঘটনায়। তার আগে জুলাই মাসে সাদিকাবাদে যাত্রিবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানি হয় ২০ জনের বেশি যাত্রীর। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৮০। জুন মাসে পাকিস্তানের হায়দরাবাদ প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিন জন।
পাকিস্তান রেলের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রেনের কামরায় সিলিন্ডার বা অন্য দাহ্য পদার্থ নিয়ে ওঠা আইনবিরুদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাত্রীরা তাঁদের পোশাকের আড়ালে সিলিন্ডার নিয়ে তেজগাম এক্সপ্রেসে ওঠেন বলে তাঁর অভিমত।
আরও পড়ুন: ‘গণহত্যা’ তকমা, তুরস্কের বিরুদ্ধে অবরোধে ট্রাম্প?
আরও পড়ুন: ইমপিচমেন্ট নিয়ে প্রস্তাব পেশ হাউসে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy