স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল একের পর এক পড়ুয়া। কেউ কিছু বোঝার আগেই প্রাণ গেল ন’জনের। শেষে নিজেকেও গুলি করেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েক জন। তবে সেই সংখ্যাটা এখনও স্পষ্ট নয়। অস্ট্রিয়ার গ্রাজ় শহরের একটি স্কুলে এই কাণ্ড হয়েছে। মধ্য ইউরোপের দেশগুলিতে গোলাগুলি চলার ঘটনা কমই ঘটে। এ হেন অস্ট্রিয়ায় এই কাণ্ডে স্বাভাবিক ভাবেই হতবাক প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা সিএএনকে স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনার কথা জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত-সহ নিহত সকলের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ (অস্ট্রিয়ার স্থানীয় সময়) স্কুলে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশের গাড়ি। আকাশে টহল দিতে শুরু করে হেলিকপ্টার। স্কুল থেকে পড়ুয়াদের বার করে দেয় পুলিশ। এলাকাও ঘিরে ফেলা হয়।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ক্রিস্টিয়ান স্টকার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘গ্রাজ়ের স্কুলের এই ঘটনা জাতীয় শোক। আমাদের গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবিশ্বাস্য ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েক জন কিশোর।’’
আরও পড়ুন:
অস্ট্রিয়া-সহ মধ্য ইউরোপের দেশে গুলি চালানোর ঘটনা বিরল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে সে দেশে প্রতি এক লক্ষ নাগরিকের মধ্যে ০.১ জনের প্রাণ গিয়েছে গুলিতে। যেখানে আমেরিকায় ওই বছরে প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ৪.৬ জনের প্রাণ গিয়েছে গুলিতে। অস্ট্রিয়ায় গত কয়েক বছর ধরে দু’-একটি হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, তবে সেই সংখ্যা কম। গত বছর অক্টোবরে অস্ট্রিয়ার এক টাউনের মেয়রকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রিয়ার দক্ষিণের এক টাউনে পাঁচ পথচারীকে কোপ মারার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে।