Advertisement
E-Paper

আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী জড়িত নয়, জানাল তাইল্যান্ড পুলিশ

কমপক্ষে ১০ জন জড়িত ছিল। ব্যাঙ্কক বিস্ফোরণের চক্রীদের সম্পর্কে আজ এ কথাই জানিয়েছে তাইল্যান্ডের পুলিশ। মূল সন্দেহভাজন বিদেশি হলেও, পুলিশের দাবি এই ঘটনায় কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত ছিল না। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজনের একটি স্কেচ প্রকাশ করেছে পুলিশ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের ঠিক আগের মুহূর্তে একটি বেঞ্চের নীচে তার ব্যাকপ্যাকটি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে অভিযুক্ত।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৫ ০২:৩৬

কমপক্ষে ১০ জন জড়িত ছিল। ব্যাঙ্কক বিস্ফোরণের চক্রীদের সম্পর্কে আজ এ কথাই জানিয়েছে তাইল্যান্ডের পুলিশ। মূল সন্দেহভাজন বিদেশি হলেও, পুলিশের দাবি এই ঘটনায় কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত ছিল না।

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজনের একটি স্কেচ প্রকাশ করেছে পুলিশ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের ঠিক আগের মুহূর্তে একটি বেঞ্চের নীচে তার ব্যাকপ্যাকটি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে অভিযুক্ত। তবে আরও দু’জনকে ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। তাঁদেরও খুঁজছে পুলিশ। এর মধ্যেই ইন্টারপোল এবং বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে তাইল্যান্ড পুলিশ সতর্ক করেছে। অভিযুক্তরা কোনও মতেই যাতে অন্য দেশে পালাতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। তবে মূল চক্রী এখনও তাইল্যান্ডেই আছে কি না, সে বিষয়ে আদৌ নিশ্চিত নয় পুলিশ প্রশাসন। তাই ব্যাঙ্ককের দু’টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজগুলির উপর সব সময়ে নজরদারি শুরু হয়েছে।

ব্যাঙ্কক বিস্ফোরণের কারণ কী? তা নিয়ে অবশ্য এখনও নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারছে না প্রশাসন। যদিও প্রাথমিক অনুমান, মূলত পর্যটন শিল্প ও অর্থনীতিতে ধাক্কা দেওয়ার জন্যই এই বিস্ফোরণ।

তবে তিল তিল করে যে বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তাইল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেছেন, ‘‘এক মাস আগে থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। কোন পথ দিয়ে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হবে তা দেখার ভার নিশ্চই আগে থেকে কারও উপর দেওয়া ছিল। ওই এলাকা পরিদর্শনের দায়িত্ব, বিস্ফোরণের পর অভিযুক্তকে সরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বও দেওয়া ছিল কারও উপর।’’ অর্থাৎ বেশ বড় একটা দল এই বিস্ফোরণের পিছনে আছে বলে তাঁর মত। কিন্তু তা কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী নয় বলে পুলিশ আজ জানিয়েছে। আবার তাইল্যান্ডে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী নেই বলে পুলিশের দাবি। তা হলে কাদের মদতে সোমবার কেঁপে উঠল ব্যাঙ্কক, তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না।

বিস্ফোরণের পর পরই অভিযুক্ত একটি বাইক ভাড়া করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে দাবি করেছেন এক বাইক চালক। বলেছেন, তিনিই অভিযুক্তকে শহরের কেন্দ্রে একটি পার্কে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সেই বাইক চালকের দাবি, অভিযুক্তের মুখে কোনও রকম দুশ্চিন্তার ছাপ ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুক্রবার উপস্থিত থাকবেন না তিনি। নিরাপত্তার খাতিরেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মরতে ভয় পাই না। দিন দিন আমার প্রাণসংশয় বাড়ছে। তবে আমি ভয় পাই যদি আমার জন্য অন্যদের মারা যেতে হয়।’’

Bangkok bomb Foreign government blast
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy