বাংলাদেশে ভোটের জন্য প্রাক্নির্বাচনী পরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ করে ফেলল সে দেশের নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে। একই আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসিরউদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দু’মাস আগে তফসিল (সূচি) প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো অনুসারে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ প্রাক্নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, রাজনৈতিক দলগুলির রেজিস্ট্রেশন, সংসদীয় আসনগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস-সহ বিভিন্ন কাজের সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে সাপ্লিমেন্টারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। এর পাশাপাশি ৩১ অক্টোবর অপর একটি খসড়া তালিকার পরে আগামী ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন-সহ অন্য আইনবিধিগুলিও ৩০ সেপ্টেম্বরে মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলির রেজিস্ট্রেশন এবং চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তিও সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেরে ফেলতে চাইছে তারা।
আরও পড়ুন:
গত ৫ অগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস জানিয়েছিলেন, আগামী বছর রমজান শুরুর আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে চান। তার পরেই দিনই ইউনূস চিঠিও পাঠান কমিশনে। তাঁর চিঠি পাওয়ার পর থেকেই ভোটার তালিকা সংশোধন ও সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে কমিশন। বুধবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য চার নির্বাচন কমিশনার। বৈঠক শেষে কমিশন জানায়, কর্মপরিকল্পনার সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। অনুমোদনও মিলে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ‘‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশে আর দেরি হবে না। হয়ত বৃহস্পতিবারই তা প্রকাশ করা সম্ভব হতে পারে।’’ তাঁর ওই মন্তব্যের পরে অনুমান করা হচ্ছিল, যে কোনও সময় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নয়, প্রাক্নির্বাচনী পরিকল্পনা ঘোষণা করল কমিশন।