ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বাড়ির একাংশ ভাঙা নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক, তা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত’, এমনটাই প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার বাংলা’ জানিয়েছে, রবিবার নয়াদিল্লির এই বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রফিকুল আলমকে। তার জবাবে তিনি জানিয়েছেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেয় না। তাই অন্য দেশের কাছেও একই ‘প্রত্যাশা’ করে তারা।
গত বুধবার রাতে ধানমন্ডিতে মুজিবের বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়। সেই নিয়ে বিবৃতি দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সেই প্রসঙ্গেই রবিবার রফিকুল বলেন, ‘‘নয়াদিল্লির ওই বিবৃতি বিদেশ মন্ত্রকের নজরে এসেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁদের এই মন্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশেও আমরা বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কোনও বিষয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেয় না। অন্যান্য দেশের কাছেও একই প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।’’
আরও পড়ুন:
গত বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে জানান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি দমনপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের বীরোচিত প্রতিরোধের ঐতিহ্য বহন করে। ৫ ফেব্রুয়ারি সেই বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্ব যাঁরা বোঝেন, তাঁরা এই বাড়ির ঐতিহ্য এবং গুরুত্ব সম্পর্কেও অবহিত। এই ভাঙচুর এবং ধ্বংসলীলার কঠোর সমালোচনা করা উচিত।’’
৫ অগস্ট বাংলাদেশে গণ আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা। তার পরে সে দেশ ছাড়েন। বুধবার রাতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি। এই ভাষণের কথা আগে থেকে আওয়ামী লীগ প্রচার করেছিল। তার ফলে হাসিনা-বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাসিনার ভাষণ শুরুর আগেই মুজিবের বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা। ভেঙে ফেলা হয় সেই বাড়ির একাংশ। ভাঙা হয় হাসিনার বাড়ি সুধা সদনও। এই প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির বিবৃতিকে ‘অনভিপ্রেত’ বলল ঢাকা।