Advertisement
E-Paper

ঢাকায় নিহত আরও তিন, হিংসা থেকে পুলিশকর্মীদের রক্ষা করতে উড়ল কপ্টার! আলোচনার বার্তা হাসিনার

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৭:৪৫
বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসায় আটকে পড়া পুলিশকর্মীদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসায় আটকে পড়া পুলিশকর্মীদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।

কোটা সংস্কারপন্থী ছাত্র-যুবদের ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ (কমপ্লিট শাটডাউন) কর্মসূচির মধ্যেই হিংসা ছড়াল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ এবং আধাসেনার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, উত্তরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, বাড্ডা এলাকায় গন্ডগোলের সময়ে পিটিয়ে খুন করা হয় এক পথচারীকে। ওই ব্যক্তি পেশায় ছিলেন মিনিবাসের চালক! বিক্ষোভকারীদের পাল্টা হামলায় কয়েক জন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। এই নিয়ে গত তিন দিনে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে মোট ন’জনের মৃত্যু হল বাংলাদেশে। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকায় দু’জন, চট্টগ্রামে তিন জন এবং রংপুরে এক জন নিহত হয়েছিলেন।

মেরুল বাড্ডায় ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ’ চত্বরে মারমুখী বিক্ষোভকারীদের হামলা থেকে বাঁচতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে আশ্রয় নেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার নামাতে হয়। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়ে তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে কোটা সংস্কারপন্থী আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানান। আনিসুলের দাবি, নীতিগত বিষয়ে হাসিনা সরকারের আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরাও বর্তমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়ে নীতিগত ভাবে সহমত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে বসব। তাঁরা (শিক্ষার্থীরা) যখনই বসতে চাইবেন, তা যদি আজ হয়, তা হলে আজই বসতে রাজি আছি আমরা।’’

(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল বাংলাদেশে ‘সংরক্ষণ বিরোধী’ আন্দোলন হচ্ছে। আদতে বাংলাদেশে এই আন্দোলন হচ্ছে কোটা সংস্কারের দাবিতে। আমরা সেই ভ্রম সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত ওই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)

Unrest in Bangladesh Bangladesh Reservation quota Agitation dhaka
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy