দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর। যে কোনও ধরনের অপচেষ্টা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আজ থেকে আগামী ৮ অগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালাবে পুলিশ। এই মর্মে জেলাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করলেও পুলিশের সন্দেহের তির যে আওয়ামী লীগের দিকে তা প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বয়ান থেকে স্পষ্ট। আর এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বক্তব্য, অশান্তি তৈরি করছে তো সরকারের নিজেদের দলই। বিশেষ অভিযানের নামে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের হয়রানি করা হবে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে সরকার-বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদ-বিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘এই সময়ে ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলি দেশব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে উস্কানিমূলক প্ররোচনা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদ-বিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বা উস্কানি সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।’
বিশেষ অভিযানে সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং যানবাহনে তল্লাশি, গণপরিবহণগুলির টার্মিনাস-টার্মিনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, গুজব রুখতে সাইবার পেট্রোলিং কার্যকর করা-সহ ছ’দফা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের এই বিশেষ অভিযানকে কটাক্ষ করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘ওরা শেখ হাসিনা-আতঙ্কে ভুগছে, আওয়ামী লীগ-আতঙ্কে ভুগছে। দেশের দিকে দিকে প্রতিবাদ- প্রতিরোধ সংগঠিত হচ্ছে বলে ইউনূস সরকার তটস্থ। তাই এই সব করে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের হয়রানি করতে চাইছে।’’
এ দিকে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত করে দিচ্ছে প্রশাসন। মঙ্গলবার হিন্দুদের বাড়িগুলি মেরামত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রামে এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তবে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি। আটকও হয়নি কেউ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)