Advertisement
E-Paper

‘শয়তানের খোঁজ’ চলছেই বাংলাদেশ জুড়ে! ১৪ দিনে গ্রেফতারির সংখ্যা সাত হাজারের বেশি

বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে ‘শয়তানের খোঁজ’ অভিযানের সূচনা করে ইউনূস প্রশাসন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড় শুরু করে। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৪
Bangladesh police said that till Friday over seven thousand people arrested during operation devil hunt

‘শয়তানের খোঁজে’ অভিযান চলছে বাংলাদেশে। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশ জুড়ে ‘শয়তানের খোঁজ অভিযান’ (অপারেশন ডেভিল হান্ট) এখনও চলছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে সেই অভিযানে অনেককে গ্রেফতারও করেছে সে দেশের পুলিশ। তবে ‘শয়তানের খোঁজ অভিযানে’ এত দিনে ঠিক কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার পরিসংখ্যান দিল বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী। শুক্রবার বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শুরু করে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট সাত হাজার ৩১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধু শুক্রবারই গ্রেফতারির সংখ্যা ৪৬১ জন।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ছ’মাস পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণকে কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনার পর উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় গাজীপুর। শুধু গাজীপুর নয়, গোটা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আগুন।

ধানমন্ডির ঘটনার পর গোটা বাংলাদেশ জুড়েই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর শুরু হয়। সেই আবহে গাজীপুরে হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে চড়াও হয় একদল জনতা। তখনই স্থানীয় কিছু মানুষ হামলাকারীদের কয়েক জনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। আহতদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। এই হামলার প্রতিবাদে শনিবার রাস্তায় নামেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব। সেখানে সংগঠনের এক সক্রিয় সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসে মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে ইউনূস সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ‘শয়তানের খোঁজ’ অভিযানের সূচনা হয় সেই বৈঠক থেকে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড় শুরু করে। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও।

Bangladesh Bangladesh Situation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy