মহম্মদ ইউনুস। —ফাইল চিত্র।
কর ফাঁকির মামলায় গত মে মাসেই নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল বাংলাদেশের আদালত। তার পরেও সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও নোবেলজয়ীর আবেদন খারিজ হয়ে গেল।
সোমবার বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যে তিনটি দাতব্য সংস্থায় ইউনুস টাকা দিয়েছিলেন, সেই টাকার উপর তাঁকে সঠিক হারে কর দিতে হবে। প্রথমে দেশকে ন্যায্য কর না দেওয়ার অভিযোগ করে ইউনুসকে নোটিস ধরিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তিনি সেই নোটিস চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন। প্রফেসর ড. মহম্মদ ইউনুস ট্রাস্ট, ইউনুস ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনুস সেন্টার নামে তিনটি সংস্থায় তিনি অর্থ দান করেছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এই তিন সংস্থায় অর্থ দিয়েছিলেন তিনি। যার মোট অর্থমূল্য ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার। তার জন্য ইউনুসকে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার কর দিতে হত (বাংলাদেশের অর্থমূল্যে ১২ কোটি টাকা)। নোবেলজয়ীর যুক্তি ছিল, তিনি কোনও লাভজনক সংস্থায় অর্থ দেননি। কিন্তু বাংলাদেশের আয়কর আইনে এই ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রেও সরকারকে কর দিতে হয়।
সংবাদসংস্থা এএফপিকে ইউনুসের আইনজীবী জিন্নাত আলি বলেছন, ‘‘আমাদের আবেদন শীর্ষ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।’’ বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন এই নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারী তহবিলের অর্থ তছরুপের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট-সহ মামলা দায়ের করেছিল। তারপর কর ফাঁকির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ইউনুস।
স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পে ঋণ দিয়ে গরিব মানুষের অর্থনৈতিক মানোন্নয়নের কাজই ইউনুসকে নোবেল পুরস্কার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশের রাজনীতির সমীকরণে শাসকদল আওয়ামী লিগের সঙ্গে ইউনুসের সখ্য নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে সরাসরি ‘গরিবের রক্তচোষা’ বলে সমালোচনা করেছেন। এ বার সেই তাঁকে কর ফাঁকি মামলায় বিপাকে পড়তে হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy