আমেরিকা থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ! রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। আমেরিকার পাল্টা শুল্কের ধাক্কা এড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ঢাকা। ওই আলোচনার অংশ হিসাবেই মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের থেকে ২৫টি বিমান কিনবে ঢাকা।
জুলাইয়ের শুরুর দিকেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে শুল্ক-চিঠি পাঠিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আগামী ১ অগস্ট থেকে আমেরিকার বাজারে যে কোনও বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের শুল্ক-চিঠি পাওয়ার পর ফের আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক বোঝাপড়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান জানান, আলোচনার অংশ হিসাবে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।
বোয়িংয়ের বিমান কেনা ছাড়াও আমেরিকা থেকে গম আমদানির বিষয়েও একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। রবিবার ঢাকায় সচিবালয় থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, পাল্টা শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার জন্য সোমবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে ঢাকার প্রতিনিধিদলের।
আরও পড়ুন:
মার্কিন সংস্থা বোয়িং-এর থেকে বিমান কেনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, “বোয়িংয়ের ব্যবসা মার্কিন সরকারের নয়, এটি করে বোয়িং সংস্থা। বাংলাদেশ মোট ২৫টি বোয়িং কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তাঁর দাবি, বাংলাদেশের অতি দ্রুত কিছু বোয়িং বিমানের প্রয়োজন রয়েছে। বোয়িংয়ের থেকে বিমান কেনার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। আগে ১৪টি বোয়িং বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে ছিল। তবে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনায় বদল করতে হয়েছে। ১৪টির বদলে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের আবহে।