আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের বাইরে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্ষোভকারীদের জমায়েত থেকে শোনা যায়, “ইউনূস পাকিস্তানি। উনি পাকিস্তানে চলে যান।”
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতা করেন ইউনূস। বক্তৃতায় গত এক বছরে বাংলাদেশের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে তিনি যখন বক্তৃতা দিচ্ছেন, তখন বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট অবৈধ উপায়ে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার পর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
এক বিক্ষোভকারী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “আমরা অবৈধ ইউনূস জমানার বিরোধিতা করছি। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং অন্য ধর্মের মানুষদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।” আর এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, ইউনূসের মদতে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে বাংলাদেশে। এই কারণে বহু মানুষ, মূলত সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
নোবেলজয়ী সমাজকর্মী ইউনূস শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে বলেন, ‘‘স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’’ তাঁর দাবি, দলমত নির্বিশেষে, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই দেশের গণতন্ত্র ও প্রশাসনিক সংস্কারের কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘‘‘গত বছর এই মহান সভায় আমি দাঁড়িয়েছিলাম সদ্য গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত একটি দেশের রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা আপনাদের শোনানোর জন্য। আজ আমি এই রূপান্তরের পথে অগ্রগতির কথা জানাচ্ছি।’’