ভেবেছিল বোর্ডিং পাস ছাড়াই ডাবলিন পৌঁছে যাবে। কিন্তু শেষমেশ তা আর হল না। যাত্রী তালিকায় নাম না থাকা সেই ‘অনাহূত’ যাত্রীর জন্যই শনিবার তড়িঘড়ি ফিরতে হল সাউদাম্পটন থেকে ডাবলিন যাওয়ার ফ্লাইবির বিমান বিই৩৮৪-কে। ঘুরতে যাওয়ার শখ মিটল না সেই যাত্রীর।
ডাবলিন যাওয়ার ইচ্ছা ছিল সাউদাম্পটন নিবাসী মৌমাছিটির। তাই শনিবার রাতারাতি ফ্লাইবির বিমানে চেপে বসেছিল সে। কিন্তু যাত্রা শুরুর মিনিট দশেক পড়েই টনক নড়ে চালকের। বুঝতে পারেন কোথাও একটা গণ্ডগোল হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেন জরুরি অবতরণ করতে হবে। যাত্রীদের জানানো হয়, ‘‘যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’’
সাউদাম্পটন বিমানবন্দরে যাত্রীদের নামানোর পরেই শুরু হয়ে যায় চিরুনি তল্লাশি। অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় মূল অপরাধীকে। বিমানের বাইরের একটি যন্ত্রে বসে আছে সে। একটি মৌমাছি। ফ্লাইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানের হাওয়া চলাচলের যন্ত্রে বসেছিল মৌমাছিটি। তার জন্যই প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। দেখতে ছোট হলেও, ততক্ষণে ফ্লাইবি কর্তৃপক্ষ বেশ বুঝে গিয়েছেন, ক্ষুদ্র মানেই তুচ্ছ নয়। যদিও শরীরে আর প্রাণ নেই মৌমাছিটির।
এই ঘটনা নিয়ে যাত্রীদের অনেকেই মশকরা করেছেন। মন্তব্য করেছেন, ‘‘ফ্লাইবির বিমানেই ধরা পড়ল বি! আর এই ঘটনা সত্যিই আন-বি-লিভেবল।’’ নোয়েল রুনি নামে এক যাত্রী বলেছেন, ‘‘এ রকম ঘটনা আগে কোনও দিন আমার সঙ্গে হয়নি। বিমানের হাওয়া যন্ত্রে মৌমাছি! অবাক কাণ্ড।’’ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ফ্লাইবি কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁরা বলেছেন, যাত্রীদের সুরক্ষাই তাঁদের কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই জরুরি অবতরণের ফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন ফ্লাইবি কর্তৃপক্ষ। প্রায় দু’ঘণ্টা পর আবার স্বাভাবিক হয় সব কিছু। যাত্রীরা ফের বিমান বিই ৩৮৪ ধরে রওনা দেন গন্তব্যের দিকে। শুধু সেই মৌমাছিটিরই আর ডাবলিন যাওয়া হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy