প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাস আটকাতে পাকিস্তানের উপর ভারত ও আমেরিকা চাপ বাড়ানোর পরেই ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়াল বেজিং।
চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং আজ মন্তব্য করেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারিতে রয়েছে পাকিস্তান। গোটা বিশ্বের উচিত ইসলামাবাদের এই ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের পরে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে মুম্বই, পঠানকোটের মতো জঙ্গি হামলাগুলিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। জঙ্গিরা যাতে পাকিস্তানের জমি ব্যবহার না করতে পারে, সে জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করার জন্যও বলা হয়েছে ইসলামাবাদকে। আল কায়েদা, আই এস, জইশ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ও দাউদ ইব্রাহিমের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সম্মত হয়েছেন মোদী ও ট্রাম্প। সন্ত্রাস বন্ধে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনেই আজ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। যার জবাবে একেবারে পাকিস্তানের হয়েই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে চিনকে।
জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করতে রাষ্ট্রপুঞ্জে নয়াদিল্লির প্রস্তাব এত দিন আটকে রেখেছে চিন। তবে মোদীর সফরের আগেই আর এক জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়েছে আমেরিকা। বেজিংয়ের জন্য যা চরম অস্বস্তির। তবে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সমঝোতা জরুরি এবং একে বাড়ানো উচিত বলেই তারা মনে করেন। আর এর পরেই সন্ত্রাসের মোকাবিলায় পাকিস্তানের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন তিনি।
ভারত-মার্কিন সমঝোতা প্রসঙ্গে চিনা মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘‘বিভিন্ন দেশের এই বন্ধুত্বে আমরা খুশি। এটা শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।’’ তবে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের ভূমিকা নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। লু কাঙের মন্তব্য, ‘‘শান্তি প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব যেন সে দেশের হাতেই থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy