পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে ভারত। তবে গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় না-তুললেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হওয়ার কথা বলেছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিদের লালনপালন করে! তবে পাকিস্তান বার বার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দাবি, পহেলগাঁও কাণ্ডে তাদের কোনও যোগ নেই। যদিও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফকে দিন কয়েক আগে বলতে শোনা গিয়েছিল, গত তিন দশক ধরে জঙ্গিদের সমর্থন এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে এই ‘নোংরা কাজের’ দায় আমেরিকা এবং পশ্চিমি বিশ্বের উপর চাপিয়েছিলেন তিনি। সেই বিতর্ক এখনও থামেনি। তার মধ্যেই এ বার প্রায় একই সুর শোনা গেল পাকিস্তানের শাসকজোটের সহযোগী পাকিস্তান পিপল্স পার্টি (পিপিপি)-র নেতা বিলাবল ভুট্টো জ়ারদারির কণ্ঠেও। তিনিও স্বীকার করেন, পাকিস্তানের একটা ইতিহাস রয়েছে!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্কাই নিউজ়’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল তুলে ধরেছেন আসিফের কথা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না এটা কোনও গোপন বিষয় যে পাকিস্তানের একটা ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস পাকিস্তানের ক্ষতি করেছে। আমরা বার বার চরমপন্থীদের মুখোমুখি হয়েছি। তবে সেই থেকে আমরা শিক্ষাও পেয়েছি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা অভ্যন্তরীণ উন্নতিও করেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পাকিস্তানের ইতিহাস যত দূর জানা যায়, তা দুর্ভাগ্যজনক!’’ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রচেষ্টার বিষয়ও তুলে ধরেছেন বিলাবল।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিলেন আসিফ। ‘স্কাই নিউজ়’কেই দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা বলেন, “আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমি বিশ্বের জন্য আমরা গত তিন দশক ধরে এই নোংরা কাজ করে যাচ্ছি।” এই ‘ভুল’ কাজের জন্য পাকিস্তানকে ভুগতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। বিলাবল সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না প্রতিরক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন, তা কোনও গোপন বিষয়।’’
আরও পড়ুন:
তবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারতকেই দুষেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর দাবি, পাকিস্তান এবং গোটা অঞ্চলে ভারত সমস্যা তৈরি করতে চাইছে। জঙ্গি হামলার নেপথ্যে ‘লশকর-এ-ত্যায়বা’র হাত রয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “লশকর পুরনো একটা নাম। ওরা এখন আর নেই। আমাদের সরকার এই ঘটনার (পহেলগাঁও কাণ্ড) নিন্দা জানায়। পাকিস্তান কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার।”