জল্পনা দীর্ঘদিনের। এ বার তা সত্যি হল। ২০১৬-এ সাহিত্যে নোবেল পেলেন রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান। চিনতে অসুবিধা হচ্ছে কি? তিনি আমাদের অতিপরিচিত বব ডিলান।
তথাকথিত সাহিত্যিক নন। তবে ডিলানের সঙ্গীতসৃজন অনেক বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছে তাঁর লেখনী ও কণ্ঠ। কিন্তু, কখনই কোনও গোষ্ঠীভুক্ত হননি ডিলান। আক্রান্ত হননি কোনও ‘ইজমে’ও। কারও মন যুগিয়ে চলেননি তিনি। মার্কিন লোকসঙ্গীতের জগতকে প্রায় আমূল বদলে দিয়েছিলেন ডিলান। তবে শুধুমাত্র লোকসঙ্গীতের জগতেই আটকে থাকেননি তিনি। প্রথা ভেঙে রকসঙ্গীতের জগতে চলে গিয়েছেন। যাতে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তাঁর একদা বন্ধু ও লোকসঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী পিট সিগারও। এমনকী, ডিলানের রকগান বন্ধ করতে বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দিয়েছিলেন পিট সিগার, এমনটাই অভিযোগ। সিগার আজ নেই। তবে আজ ডিলানের এই স্বীকৃতিতে খুশি হতেন সিগারও।
৭৫ বছরের চিরতরুণ কিংবদন্তি ডিলানকে পুরস্কারের ঘোষণাপত্রে নোবেল কমিটি লিখেছেন, “মার্কিন সাঙ্গিতিক ঐতিহ্যে নয়া কাব্যিক মূর্চ্ছনা এনে দিয়েছেন তিনি।”
ষাটের দশকের গোড়ায় মিনেসোটার কফি হাউসগুলিতে সঙ্গীত জীবন শুরু করেছিলেন ডিলান। সে দশক থেকেই একের পর এক দুনিয়াকাঁপানো গান বেরিয়েছে তাঁর কণ্ঠ ছেড়ে। ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’, ‘দ্য টাইমস দে আর চেঞ্জিং’ ‘ট্যাম্বুরিন ম্যান’— নাগরিক কবিয়ালের একের পর এক গানে উঠে এসেছে অধিকারের কথা, লড়াইয়ের কথা।
আরও পড়ুন
গৃহযুদ্ধে ক্লান্ত কলম্বিয়ায় শান্তির নোবেল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy