শুধু গুলি করে নিচে নামানো নয়, আগে থেকেই বিমানের মধ্যে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়া ‘আগুনের গোলা’ আসলে সেই বিস্ফোরণেরই ফল। রুশ বিমান এয়ারবাস এ-৩২১-য়ে এই ভাবেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করল মার্কিন এবং ইউরোপীয় তদন্তকারী সংস্থা।
দুর্ঘটনার পরেই অবশ্য ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মিশরীয় শাখা সংগঠন দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল। দাবি করে, তারাই গুলি করে নামিয়েছে বিমানটি। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে রুশ সেনার লাগাতার বিমান হামলার জবাব দিতেই এই হামলা চালানো হয় বলেও জানায় ওই জঙ্গিগোষ্ঠী।
কিন্তু বিমান দুর্ঘটনার যে ছবি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছিল তাতে স্পষ্ট ছিল বিস্ফোরণের ইঙ্গিত। উপগ্রহ চিত্রে আগুনের গোলার ছবি দেখা গিয়েছিল। শুধু মাত্র গুলি করে বিমানটিকে নীচে নামালে কখনও মাঝ আকাশে বিস্ফোরণ হওয়া সম্ভব নয়। প্রথম দিকে তদন্তকারীরা অনুমান করেছিলেন, আগুনের ওই গোলার ধাক্কাতেই ভেঙে যায় বিমানের পিছনের একটা অংশ। ওই ভাঙা অংশ দিয়ে হাওয়া ঢুকে তছনছ করে দেয় গোটা বিমানকে। এটা জঙ্গিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বলেই অনুমান করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু বাস্তবে তার থেকেও মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে।
তদন্তকারীদের দাবি, বিমানবন্দরের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী এড়িয়ে বিমানের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বোমা।