ব্র্যাঞ্জেলিনার সংসারে আসছে নতুন অতিথি।
মাস কয়েক আগে শরণার্থী সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত হয়ে সিরিয়া গিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। সেখানে তাঁর সঙ্গে আলাপ তিন খুদের। গৃহযুদ্ধে মা-বাবা, দু’জনকেই হারিয়ে অনাথ তিন ভাই। তখনই মনে মনে ভাবেন, ম্যাডক্স-জারাদের ভাই করে ওদের নিয়ে গেলে কেমন হয়!
তিন ভাইয়ের মধ্যে এক জন একটু ইংরেজি বলতে পারত। সেই ভাঙা ভাঙা শব্দে জানিয়েছিল, তাদের বাবাকে তুলে নিয়ে যায় সিরীয় সেনা। যুদ্ধ তখন পুরোদমে চলছে। বোমার আঘাতে একদিন গুঁড়িয়ে গেল বাড়ি। শেষ হয়ে গেলেন মা।
অ্যাঞ্জেলিনার এক সফরসঙ্গী বলেন, ‘‘তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় জন খুব শান্ত। সব সময় অ্যাঞ্জেলিনার গা ঘেঁষে থাকত। ওদের দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি অ্যাঞ্জেলিনা।’’
আমেরিকা ফিরে এসেই ব্র্যাডকে জানান সব। বলেন, তিনি তিন জনকেই দত্তক নিতে চান। কিন্তু বেঁকে বসেন ব্র্যাড। তাঁর বক্তব্য ছিল, বাড়িতে ন’টা বাচ্চা... সামলানো কঠিন হয়ে যাবে। ম্যাডক্সরা মেনে নিতে পারবে কি না, প্রশ্ন তোলেন তা নিয়েও।
অ্যাঞ্জেলিনার বন্ধু জানিয়েছেন, ব্র্যাডের আপত্তিতে রেগে যাননি অভিনেত্রী। বরং ঠান্ডা মাথায় বিবেচনা করে দেখেন দু’জনে।
ঠিক করেন, অন্তত একটি বাচ্চাকে দত্তক নেবেন তাঁরা। তবে ওই তিন ভাইয়ের মধ্যেই কাউকে কোলে তুলে নিচ্ছেন কি না ব্র্যাঞ্জেলিনা, তা জানা যায়নি। এটুকুই জানা গিয়েছে, লাল ফিতের ফাঁস পেরিয়ে নয়া অতিথির আমেরিকা পৌঁছতে আরও চার-পাঁচ মাসের অপেক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy