হাইড পার্কের বিশাল টিভি স্ক্রিনে ফুটবল। আর ওয়েস্টমিনস্টারের আকাশে ট্রাম্প বেলুন। এটাই এ সপ্তাহের লন্ডন।
তিন দিন বাদেই এ দেশে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুধু রাজনীতির জগতের লোকেরা নন, সাধারণ মানুষও তাঁর এই ‘আগমন’কে ভাল চোখে দেখছে না। তিনি অবশ্য লন্ডন এড়িয়েই সফরসূচি তৈরি করেছেন। তবু, যে রাতটুকু এ শহরে কাটাবেন, সে দিন দুপুর থেকে ন্যাপি পরা শিশু ট্রাম্পের আদলে এক বিশাল বেলুন উড়বে ওয়েস্টমিনস্টারের আকাশে। লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের কাছ থেকে এই বেলুন ওড়ানোর অনুমতিও পেয়ে গিয়েছেন প্রতিবাদীরা।
এ তো গেল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এ দেশের অসন্তোষ-আখ্যান। আবেগের অন্য প্রান্তে রয়েছে জাতীয় ফুটবল টিমের এ বার বিশ্বকাপের অনবদ্য পারফরম্যান্স। গত কয়েক দিন ধরেই লন্ডনের আকাশ রোদ ঝলমলে, যেন দেশের মানুষের মনের অবস্থার এক প্রতিচ্ছবি। বাড়িতে, পাবে, দোকানে বাজছে একটাই গান— ‘ফুটবল’স কামিং হোম।’ বাইশ বছর আগের লেখা গানটি ঘুরছে সকলের মুখে মুখে। কাপ এ বার ঘরে ফিরছে।
২৮ বছর আগে, সেই ১৯৯০-তে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। তার পর আর ফুটবল দেবতা এ দেশের প্রতি প্রসন্ন হননি। কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। সৌজন্যে, কোচ গ্যারেথ সাউথগেট আর তাঁর ছেলেরা। ১৯৯৬ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানির কাছে পেনাল্টি শুট আউটে হেরেছিল ইংল্যান্ড। পেনাল্টি মিস করেছিলেন গ্যারেথ। রাতারাতি খলনায়ক হয়ে যান তিনি। রাস্তাঘাটে তাঁকে দেখলেই দুয়ো দিতে শুরু করত সকলে। পিৎজ়ার দোকানেও তাঁকে যেতে হত মুখ ঢেকে।
এ বার আর টিম ইংল্যান্ড পেনাল্টি ফস্কাচ্ছে না। সবাই আশা করে রয়েছে, ফস্কে যাবে না কাপটাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy