সান দিয়েগো বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনাল। ছবি: টুইটার।
যদি প্রশ্ন করি একটি বিমানবন্দরের টার্মিনাল কত লম্বা হতে পারে? কী উত্তর দেবেন? বলবেন হয়ত কয়েক কিমি লম্বা। ভুল। যদি বলি দু’দেশের সীমান্ত জুড়ে বিমানবন্দরের টার্মিনাল। তা হলে কি বলবেন? ভাবছেন ঠাট্টা করছি। না এক দম নয়। মোটেও মিথ্যে বলছি না। এমনই হয়েছে মার্কিন মুলুকের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো বিমানবন্দরে তৈরি হয়েছে নতুন একটি টার্মিনাল। আগামী বুধবার ৯ ডিসেম্বর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে টার্মিনালটি।
টার্মিনালটির বিশেষত্ব কী?
সান দিয়েগো বিমানবন্দরে তৈরি হয়েছে একটি অত্যাধুনিক স্লিক টার্মিনাল। সীমান্তের এক দিকে আমেরিকা অন্য দিকে মেক্সিকো। এক দিকে আছে মেক্সিকোর তিজুয়ানা বিমানবন্দর। মেক্সিকোর অন্তত ৩০টি জায়গায় যেতে হলে ভরসা এই বিমানবন্দরটি। অন্য দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো বিমানবন্দর। দু’টি বিমানবন্দরকে এক সূত্রে বেঁধেছে একটি সেতু। সেতুটির আয়তন ১১৯ মিটার। টার্মিনালটি মেক্সিকোর বিশিষ্ট স্থাপত্যবিদ রিকার্ডো লেগোরেত্তার তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে। মৃত্যুর আগে এটি তাঁর শেষ কাজ। পার্পল রঙের এক ধরণের প্লাস্টার এবং লাল রঙের চুনাপাথরের মিশ্রণে নির্মিত হয়েছে টার্মিনালটির দেওয়াল।
মেক্সিকো এবং আমেরিকার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুবই কড়াকড়ি। মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় যেতে হলে পেরতে হয় কঠোর নিয়মকানুন। যাঁরা মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় আসছেন তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় সান দিয়েগোতে। বিমানবন্দর কর্তৃরক্ষের দাবি, এখন থেকে আর ঝামেলা পোয়াতে হবে না। সেতুর সাহায্যে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পৌঁছনো যাবে আমেরিকায়। তবে এর জন্য গাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে ১৮ মার্কিন ডলার।
এর আগে মাত্র দু’টিই ‘ক্রস-বর্ডার এয়ারপোর্ট টার্মিনাল’ বা দু’দেশের সীমান্ত ছড়িয়ে টার্মিনাল তৈরি হয়েছে। একটি আছে সুইত্জারল্যান্ডের বাসেলে এবং অন্যটি ফ্রান্সের আপার রাইন এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy