প্রতীকী চিত্র।
দু’বছর আগে ইউক্রেনের এক যাত্রিবাহী বিমানে ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ধ্বংস করেছিল ইরানের বাহিনী। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৭৬ জন। তার মধ্যে ছিলেন একই পরিবারের ৬ জন। তাঁদের পরিজনকে সুদ-সহ ৮ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল কানাডার অন্ট্যারিয়োর এক আদালত।
ঘটনার দিন ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ওই উড়ানটি সবে তেহরান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তাতে যাত্রী-সহ ছিলেন মোট ১৭৬ জন। তার মধ্যে ৫৫ জন কানাডার নাগরিক। এ ছাড়া আরও ৩০ জনের কানাডার স্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমোদন ছিল। আমেরিকার সঙ্গে চাপান-উতোরের জেরে ভুলবশত ওই বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। নিহতদের মধ্যে ছিলেন একটি পরিবারের ৬ জন। যাঁদের পরিজন ইরানের বিরুদ্ধে অন্ট্যারিয়োর এক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
গত বছর অন্ট্যারিয়োর ওই আদালত জানায়, যাত্রিবাহী ওই বিমানের উপরে হামলা সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনীয়। নিহতের পরিজনেরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে পারেন। সেই মামলায় গত ৩১ ডিসেম্বর ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক এডওয়ার্ড বেলোবাবা। সঙ্গে জানান, আর্থিক ক্ষতিপূরণ কোনও ভাবেই প্রাণের বিকল্প হতে পারে না।
এই রায়ের পরে এখনও স্পষ্ট নয়, নিহতের পরিজনেরা কী ভাবে ইরানের থেকে ওই অর্থ আদায় করবেন। তবে আদালতের রায়ে আইনি ন্যায়বিচার পেলেন বলেই মনে করছেন নিহতের পরিজন। আবেদনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই রায় অভূতপূর্ব। কানাডায় ইরানের যে সম্পত্তি রয়েছে, তা বাজেয়াপ্ত করে ওই ক্ষতিপূরণের অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। এর পাশাপাশি অন্য দেশে থাকা ইরানের তেলের ট্যাঙ্কারও বাজেয়াপ্তে করার কৌশল নেবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র জানুয়ারিতে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সংঘাত চরমে ওঠে। সে সময়েই ইউক্রেনের ওই উড়ানটিতে হামলা চালায় ইরান। প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে এই ঘটনায় জনসমক্ষে ক্ষমা চায় ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy