(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার শুল্কনীতির বিরুদ্ধে এ বার সুর চড়ালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তিনি কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসনের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। গত ডিসেম্বরেই নীতিগত সংঘাতের কারণে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন ফ্রিল্যান্ড। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরোধিতায় সমস্বরে সুর চড়ালেন তিনিও।
কানাডার পণ্যের উপর আমেরিকায় ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার থেকেই এই শুল্কনীতি কার্যকর হবে। সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রিল্যান্ড এই সিদ্ধান্তকে ‘সম্পূর্ণ উন্মাদের মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন। এটি কানাডার বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধে’র সমান বলেও মনে করছেন তিনি। কানাডার প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ। এর জবাবে কানাডা যা করবে, তাতে চমকে যাবেন আমেরিকাবাসী।”
বস্তুত, ট্রাম্প কানাডার উপর শুল্ক চাপানোর আগে থেকেই এ নিয়ে সরব থেকেছেন ফ্রিল্যান্ড। ট্রাম্প অনেক দিন ধরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন শুল্কনীতির বিষয়ে। এ নিয়ে কানাডাকে আগাম প্রস্তুত থাকার কথা বলেছিলেন প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহেও ফ্রিল্যান্ড এই নিয়ে সরব হন। আমেরিকা শুল্ক চাপালে কানাডা কোন কোন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক চাপাবে, সেই ‘প্রত্যাঘাতের তালিকা’ তৈরির দাবি তুলেছিলেন তিনি।
‘সিএনএন’-কে ফ্রিল্যান্ড বলেন, “ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কানাডার বেশির ভাগ মানুষই রেগে আছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংকল্প করেছি নিজেদের দেশের জন্য লড়াই করবই। আমরা কানাডার জন্য লড়ব এবং সফল হব।” আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলে কানাডার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটা, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় ফ্রিল্যান্ডকে। জবাবে তিনি জানান, আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় বাজার কানাডা। এমনকি কানাডার বাজারে চিন, জাপান, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মিলিত পণ্যের তুলনাতেও আমেরিকার পণ্য বেশি। সে ক্ষেত্রে কানাডার প্রত্যাঘাতে আমেরিকাও বিপাকে পড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
আমেরিকার শুল্কনীতির পর কানাডাও ইতিমধ্যে আমেরিকান পণ্যের উপর পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রুডো বলেছেন, “আমেরিকান পণ্য কম কিনুন। আমেরিকার বদলে কানাডার পণ্য এবং পরিষেবাগুলি ব্যবহার করুন।” আমেরিকানদের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “কানাডার উপর শুল্ক চাপানোয় আপনাদের চাকরি নিয়েও টানাটানি পড়ে যেতে পারে।” পরে আবার আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত, সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের গৃহীত পদক্ষেপগুলি আমাদের একত্রিত করার পরিবর্তে বিভক্ত করছে।’’ আমেরিকার পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন ট্রুডো। তাঁর ইঙ্গিত, এই পদক্ষেপ করা ছাড়া ট্রাম্প তাঁর কাছে অন্য কোনও পথ খোলা রাখেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy