Advertisement
০৭ মে ২০২৪
China

China: উপগ্রহচিত্রে ‘কাল্পনিক’ গ্রাম! চিনা ওয়েবসাইটে এ বার ভুটানের জমি দখলের সওয়াল?

ভুটান লাগোয়া বিতর্কিত ভূখণ্ডে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির এই জবরদখল ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

ভুটান সীমান্তে চিনা গ্রাম।

ভুটান সীমান্তে চিনা গ্রাম। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২২ ১৭:০৯
Share: Save:

পূর্ব লাদাখ, অরুণাচলের পরে এ বার ‘ড্রাগনের নজর’ ভুটানের জমিতে। শুধু ডোকলাম উপত্যকায় ঢুকে সেনা ঘাঁটি নয়, আমু চু এলাকায় ঢুকে চিনা ফৌজ আস্ত একটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি একটি উপগ্রহচিত্রের ভিত্তিতে ভুটান সীমান্তের আমু এলাকার কাল্পনিক ছবি প্রকাশ করেছে একটি চিনা ওয়েবসাইট। সেখানে বিতর্কিত এলাকায় চিনা গ্রাম রয়েছে! উপগ্রহচিত্রের ভিত্তিতে তৈরি কাল্পনিক গ্রামের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি পাহাড়ি নদীর পাশে একই ধাঁচের সারি সারি বাড়ি। এর আগে অরুণাচলের বিতর্কিত এলাকায় গড়ে তোলা চিনা গ্রামেও এমন সারিবদ্ধ বাড়ির ছবি দেখা দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) উত্তেজনার আবহেই ২০২০ সালে ভুটানের ভূখণ্ডে ‘নজর’ ঘুরিয়েছিল চিন। সেনা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি, পূর্ব ভুটানের সীমান্ত লাগোয়া সাকতেং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মালিকানার দাবি তোলা হয়েছিল সরাসরি আন্তর্জাতিক মঞ্চে। যদিও সে বছরের শেষ পর্বে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি’ (জিইএফ)-এর সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল সভায় ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ থিম্পুর পাশে দাঁড়ানোয় বেজিংয়ের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়নি।

বিতর্কিত ভূখণ্ডে চিনের এই জবরদখল ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর আগে ২০২০-র নভেম্বরে ডোকলামের অদূরে ভুটান সীমান্তের দু’কিলোমিটারেরও বেশি ভিতরে এসে ‘পাংদা’ নামে একটি গ্রাম তৈরির অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে। এর পর ডোকলাম মালভূমির পূর্বাংশে চিনা অনুপ্রবেশের খবর মেলে। সে সময় চিনের তরফে অনুপ্রবেশের খবর স্বীকার করা হয়নি। এ বার চিনা ওয়েবসাইটেই অধিকৃত তিব্বত লাগোয়া ভুটানের জমি দখলের পক্ষে সওয়াল করা হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE