ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার আক্রমণের নিন্দা জানাল চিন। বেজিংয়ের দাবি, ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে আকাশপথে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে আমেরিকা! শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদেরও কোনও তোয়াক্কা করেনি বলে মনে করছে চিন। রবিবারের হামলা প্রসঙ্গে বিবৃতি প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিদেশ মন্ত্রক।
ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলিতে হামলা চালিয়ে আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছে বেজিং। সংঘর্ষে জড়ানো সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইজ়রায়েলকে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা উচিত বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংঘর্ষ থামিয়ে আলোচনায় বসারও ডাক দিয়েছে তারা। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে অন্য দেশগুলির সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানিয়েছে চিন।
এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকার হামলার বিরুদ্ধে সরব হল। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সামরিক আক্রমণের ইতিমধ্যে নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। ইরানের পরমাণুকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে আমেরিকার হামলাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। মস্কোও জানিয়েছে, যে ভাবে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক আইনকে সম্পূর্ণ ভাবে লঙ্ঘন করেছে। এখনও পর্যন্ত চিন এবং রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনও তৃতীয় রাষ্ট্র আমেরিকার হামলার সরাসরি নিন্দা জানায়নি। ব্রিটেন এবং ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরেই সুর মিলিয়ে তারা জানিয়েছে, ইরান কোনও ভাবেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:
রবিবার ভোরে ইরানের ফোরডো, নাতান্জ় এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকার সামরিক বাহিনী। ইরানে হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনার জন্য দু’সপ্তাহ সময় নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু দু’সপ্তাহ তো দূর, ট্রাম্পের ওই বার্তার দু’দিন যেতে না যেতেই ইরানের উপর আক্রমণ চালিয়েছে আমেরিকার সামরিক বাহিনী। এই ভাবে ইরানের উপর হামলা চালিয়ে আমেরিকার আন্তর্জাতিক বিধি ভেঙেছে বলে অভিযোগ রেভলিউশনারি গার্ডের। ইরানের অভিযোগের একপ্রকার প্রতিফলন দেখা গেল চিন এবং রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের বয়ানে।