গত কালই ভারতকে দ্বিতীয় বার শিক্ষা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল চিন। নিজেদের বক্তব্যকে আরও জোরালো করে তুলতে বেজিং আজ দাবি করল, তাদের এলাকায় অনুপ্রবেশের কথা মেনে নিয়েছে ভারত। ফলে সেনা সরানোর শর্তকে সামনে রেখে ফের যুদ্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ সঙ্গেই বেজিংয়ের দাবি, অজিত ডোভালের আসন্ন চিন সফরেও চিঁড়ে ভিজবে না।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। গত কাল ব্যাঙ্ককে তাঁর মন্তব্যকে আজ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। ওয়াং দাবি করেছেন, দিল্লি মেনে নিয়েছে চিনের এলাকায় ঢুকে পড়েছে ভারতীয় সেনা। চিনা বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য,‘‘কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দিল্লির শীর্ষ অফিসাররা মানছেন, চিনা সেনা ভারতের এলাকায় প্রবেশ করেনি। বরং ভারতের সেনাই চিনের এলাকায় ঢুকে পড়েছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘এর সমাধান খুবই সহজ। ভারতকে চিনের এলাকা থেকে সেনা সরাতে হবে।’’
আরও পড়ুন:সেশনসকে ফের একহাত ট্রাম্পের
চিনের সরকারি খবরের কাগজ গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদকীয়তেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সেনা না সরিয়ে ডোভালের আসন্ন চিন সফরে যদি সমস্যার সমাধান আশা করে থাকে ভারত, তা কখনওই সফল হবে না। এই ‘ভ্রান্তি’ থেকে দিল্লিকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে বেজিং। এ মাসের শেষে ব্রিকসের দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং যাচ্ছেন ডোভাল। ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ সীমান্তের উত্তেজনার জন্য ডোভালকে ‘চক্রী’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘‘ভারত চাইলেও ডোভালের চিন সফরে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের কোনও সুযোগ নেই।’’
ডোকা লা থেকে সেনা সরানোর প্রশ্নেও ফের চড়া সুরে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। গ্লোবাল টাইমস-এ লেখা হয়েছে, ‘‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ভারতের যদি সম্মান থেকে থাকে, তা হলে সেনা সরিয়ে নেবে তারা।... তা না হলে চিনা সেনাই ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। ভারতীয় সেনা কিংবা সরকার তা সামলাতে পারবে না।’’ ওই সংবাদপত্র লিখেছে, ‘‘আমরা মনে করি না, চিনের সঙ্গে ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে চাইছে। তবে যদি তারা সেটা করতে চায়, বেজিং নিজেদের জমি রক্ষা করতে শেষ পর্যন্ত লড়বে। দিল্লিকে এর মাসুল দিতে হবে বিরাট ভাবে।’’ দিল্লির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি, ‘‘সেনা সরিয়ে নিলে কম ক্ষতি হবে। না হলে ভারতকে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে, ১৯৬২ সালের পর থেকে তারা যা দেখেনি।’’ ‘গ্লোবাল টাইমস’ বলছে, ‘‘চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট ভারতের চার গুণ। কিন্তু এটাই আমাদের একমাত্র শক্তি নয়। এই সংঘাতে ন্যায় রয়েছে চিনের দিকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy